আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুপারম্যান ও ক'জন পদার্থবিদ..

বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার

আহা! লাল জাঙ্গিয়া পড়ে সুপারম্যান কতোই না খেল দেখালেন। কিন্তু বেকে বসলেন পদার্থবিদরা । মোটামুটি হাতা গুটিয়ে মারমার কাটকাট করে সবাই ভাবতে বসলেন। একজন বললেন "ব্যাটা ওড়ে কিভাবে পাখনা ছাড়া?" প্রফেসর রিচার্ড মুলার জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞান পড়ান ক্যালিফোর্নিয়ায়। ছোট বেলায় বেজায় ভক্ত ছিলেন।

তাই সাফাই গাইবার সুরেই বললেন, "ইয়ে আমি একটু বিরক্তই হই ব্যাপারটায়। আমার মনে হয় সুপারম্যান আসলে উড়তে পারেনা, কিন্তু লাফ মারতে পারে ভালো । দুম করে একটা লাফ দেয়, তারপর বাতাসের স্রোতকে ব্যবহার করে একটু উড়বার ভাব নেয়"। একটু ভেবে আবার বললেন, "আবার এও সম্ভব ব্যাটার চামড়া দিয়ে প্রবল বেগে জলীয় বাষ্প বের হয় আর নিউটনের 3য় সূত্র অনুসারে সে উড়তে থাকে" স্ট্যানফোর্ডের ধামড়া ছাত্র অ্যান্ডি লিফার বলল, "ধূর। ফিজিক্স মেনে কি এসব হয়, মানলে তো সেটা হত বাস্তব জীবন, এবং অবশ্যই বোরিং" ক্যালিফোর্নিয়া সোসাইটি অব ফিজিক্সের এড মার্টি আর পারলেন না।

হাতে ঘুষি মেরে বললেন, "যত্তোসব ফাজিলের দল, বলে কিনা এক্স-রে ভিশন। আরে এক্স-রে ভিশন কাজ করতে হলে তো আয়না লাগবে দেখার জিনিসটার পিছনে যা রিফ্লেক্টর হিসেবে কাজ করবে। সুপারম্যানকে সাথে করে তাই সব সময় একটা বড়সর আয়না রাখতে হবে! এখানেই শেষ না, সুপারম্যানের এই ক্ষমতা থাকতে হলে তার চোখ থেকে অকল্পনীয় পরিমানের এক্স-রে রেডিয়েশন ছড়াতে হবে। মুস্কিল হল ওই পরিমান রেডিয়েশনের ফলে সে যার দিকে তাকাবে তার-ই নির্ঘাৎ মরন, তা সে লোইস লেন হোক আর লেক্স লুথার" প্রফেসর মুলারের ফর্সা মুখটা লাল হওয়া বাকি ছিল । এবার তাও হয়ে গেল।

বললেন , "ননসেনস! সব কিছুকে লিটারেলী ধরলে কিভাবে হবে? ছোটবেলায় আমারো তো এক্স-রে গগলস ছিল, মেয়েদের জামার নিচে কতো কিছুই না দেখতাম তাতে। আমার ধারনা এক্স রে ভিশন আসলে নিউট্রিনো ভিশন। নিউট্রিনোতে এমন হতেই পারে.." তবে মুলার চিপায় পড়ে স্বীকার করলেন যে সুপারম্যান যদি লোইসকে নিয়ে বুলেটের গতিতে উড়তে যায় তবে লোইসের ভর্তা হয়ে যাবার সম্ভাবনা 99%! আর আলোর বেগে ছুটলে, দেখা যাবে সে যুবকই থাকবে, কিন্তু অশতীপর বৃদ্ধ হয়ে যাবে তার প্রিয়জনেরা, অন্তত রিলেটিভিটি তাই বলে। তারমানে দুমদাম উড়া উড়ি করলে লোইসের সাথে ডেইট করার আশা ছাড়তে হবে.. ঘন্টা তিনেক সবের্াচ্চ বেগে উড়লে হয়তো দেখা যাবে লোইস বুড়ি হয়ে পটল তুলেছে মুলারের নরম ভাব দেখে লিফার আবার শুরু করে, "ফাজিলটা সমুদ্র থেকে একটা পুরা দেশ তুলে ফেলে! এটা কি সহ্য করা যায়? কনসার্ভেশন অব মোমেন্টাম অনুযায়ী এই কীর্তির ফলে পৃথিবীর কক্ষচূ্যত হবার কথা!" পাশেই ছিল চেন। খ্যাক্যখ্যাক করে হেসে যে যোগ করে, "আমার তো মজাই লাগে, চোখের পলকে কাপড় বদলানো দেখে! ব্যাটা সাথে কয় সেট জামা রাখে রে?" মুলার দেখলেন বিপদ।

সাহস করে বললেন, "আমি কিন্তু অমানুষিক শক্তির একটা ব্যাখ্যা পাই" মার্টি হা করে তাকায়! "কৃপটন গ্রহে আমার ধারনা মহাকর্ষ অনেক অনেক গুন বেশী। তাই প্রানীদের অনেক শক্ত পোক্ত হতে হয়। সেই প্রানীরা পৃথিবীতে হাজির হলে তুলনামূলক কম মহাকর্ষে তাদের শক্তি তো বেশী মনে হতেই পারে!", বেশ একটা ভালো যুক্তি দেখাতে পারার ভঙ্গিতে বললেন মুলার। মার্টি কিন্তু এবার একটু ভ্যাবাচেকাই খেয়ে গেল এটা শুনে। লিফার কিছু না পেয়ে বললেন, "হুমম.. শালার বারো ডলারই জলে গেল.."


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।