অন্ধকার; মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব' আপেল ও চাঁদ আপেলের কাঁচাঘুমের প্রলম্বিত সীবন সিঁধে মধ্যযামের সুচেতনা নীল-নির্জনতায় চন্দ্রবালিকার নাকে রুপালী ফুল, কানে ঝুমকোদুল বালুকাবেলার টিকিট কেটে আলো ছড়ায় জলভ্রমনে, ডাঁসা আপেলের লেবুপাতা ঠোঁটে চন্দ্রবালিকা হাসে, নির্লিপ্ততায় ভাষে উপল-কালো লেগুনে । সোমত্ত বালিকা তখন বধু-চাঁদ, শরতশুভ্র আরক্তিম আপেল এক, ঝিঁঝিঁ পোকাদের গল্পকথায় অনায়াস নিশ্বাস, ঝলমল আকাশে উড়ে চাঁদের ফানুষ । টিকিট চেকিংয়ে আসে ভোর-পাখিরা, সূর্যদীপ্তির আড়ালে চাঁদ তখন কেবলই হুইসপার, জলের বুকে ডুবে-ভাষে অমৃতার স্রোত । ব্রহ্মক্ষনে নিস্পত্র আপেলের শীতঘুম স্বপ্নবাজের কল্পচোখে আনে গাঢ়তর ঝিম । একই চাঁদ পৃথিবীর পরে হারায়ে ফিরে বারেবার, পরাজয়ের অভিকর্ষে নিঃসার আপেল খুঁজে পায় সবুজাভ-লাল প্রত্যুত্তর জ্বলন্ত চাঁদ ও আদিম বেলাভুমি মানব শরীর রোদের কাছে সমার্পিত বেলাভুমি এক, বন্য বাতাস থেকে জন্ম নিয়েছে যে সমুদ্র তার বালুকা বেলার অমথিত পথে লেপ্টে থাকে প্রবালের গাঢ় গন্ধ, কুয়াশার রক্তরাঙা সাঁঝের মায়ায় সেখানে আদিম অন্ধকার নামে মাছ-মুখো সুতনু আরক্তিম জ্যোতি এক, ঢেউয়ের পর ঢেউ খেলে খোপার অন্ধকারের সমান বয়সী মদ্যপ স্রোতে, তাদের রমনীয় সবুজ বাসনা ছড়িয়ে পড়ে । মধ্যযামের চুনট সময়ে জ্বলে সোমত্ত চাঁদ, নখের দিগন্তে ম্যানিকিউর হতে থাকে প্রতিদিন । বালিয়াড়িতে গলে যায় নিরালোক চোখ কিংবা মেঘজর্জরিত ঠোঁট, ঝড়-বিদ্ধস্ত বাতিঘর আলোহীন, অধঃক্ষেপনের উৎসবে সামিল শিশির । লবনাক্ত ত্বকে উর্বরতার বীজ বুনে দোদুল্যমান জাহাজ ফেনীল ঢেউজলে চেপে চলে যায়, শৈলান্তরীপের নির্জনতা ছেড়ে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।