সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার
কালো হাতে কালো টাকা নিয়ে ভালো সাজে এরা আমাদের সমাজে। সে কালো টাকাকে সাদা করার জন্যে এরা শহরে গ্রামে মসজিদ বানায়, মাদ্রাসা গড়ে, স্কুলঘর তোলে, সমাজসেবীর তকমা এটে এদের কালো হাতকে আরো বেশী প্রসারিত করে। এরা প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসী পোষে আর আমরা তাদেরকে তা জেনেও সালাম দিতে বাধ্য হই। আমরা মসজিদে এদের ও এদের ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের পেছনের কাতারে দাড়াই। দেশ ও দশের মঙ্গলকামনায় এদের সাথে মিলে মিশে মোনাজাত করি।
আমরা প্রতিদিনই একটু একটু করে আরো বেশী দেউলিয়া হই।
তারপর তাদের কালো হাতকে আরো বেশী প্রসারিত করে এগিয়ে যায় তারা তাদের অভীষ্ট লক্ষে। তোষামোদকারী মদদদারদের হাত ধরে, তাদের কালো টাকাকে পুজি করে, তাদের সন্ত্রাসীর অস্ত্রকে উচিয়ে ধরে আর আমাদের ভোটের উপর ভরসা করে রাজনীতিতে প্রবেশ তাদের। কোন এক প্রতিপত্তিশালী রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন কিনে নেয় টাকার জোরে। সেই জোরেই ভোট কিনে কিনে কিনে নেয় জাতীয় সংসদের আসনও।
আমরা আরো বেশী দেউলিয়া হই। এদের স্বরূপ চিনেও এদেরকে লম্বা সালাম দিই। আমাদের নিজস্ব সত্বা ও ন্যায়বোধের স্বকীয়তা তাদের কাছে বিকিয়ে নি:স্ব হয়ে যাই। আমাদের দেশ সারা বিশ্বের কাছে দেউলিয়া হয়।
এরাই আওয়ামী লীগার, এরাই বিএনপি, এরাই জামাত, এরাই জাতীয় দল।
এদের নিজস্ব কোন চরিত্র নেই। এদের দলবদ্ধতা একেকাটি দলের রাজনৈতিক প্রভাবের সাথে বদলায়। আমরা তা জেনেও এদের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাই না। তাহলে আমরা কি ? আমরা কেন এদের এখনও ঘৃণা করতে শিখিনি ? আমাদের ভেতরে সত্যিকারের ঘৃণা থকলে ওরা কি এতটা শক্তিশালী হতে পারতো ? অথচ আমাদের এই অক্ষমতায় এদের শেকড় আরো বেশী শক্ত হচ্ছে প্রতিদিন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতে ইসলামীর কথা আরো আলাদা ভাবে আসে।
এরা ও মৌলবাদীরা বাংলাদেশের জন্মই চায়নি। ভ্রুনহত্যার পৈশাচিক উদ্দেশ্যে হায়েনাদের সাথে হাত মিলিয়ে ওরা হত্যা করেছে এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ, শত শত বুদ্ধিজীবি কে হত্যা করে পঙ্গু করেছে দেশের শিা ও সাংস্কৃতিকে, সন্মান লুটেছে আমাদেরই মা-বোনদের। যেহেতু ওরা এদেশেরই জন্ম চায়নি, সেহেতু তাদের চোখে তো বাংলাদেশ জারজ একটি দেশ। ইসলামের দোহাই দিয়ে এখন যারা এদের সপক্ষে, তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা আরো বেশী শক্তিশালী হওয়া দরকার। কারন তারাও তো তাদের পুর্বসুরীদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে এদেশকে জারজই ভাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।