আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুপারম্যান রিটর্ানস ঃ একটি ব্যবচ্ছেদ ক্লাস

মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা

শুক্রবার হচ্ছে এই মুল্লুকে নিরবধি ফর্ুতির রাত। কারণ কি জানিনা। একটা থিওরি আছে, সেটা হচ্ছে পরের দিন শনিবার তাই। শনিবার রাতে এতখানি ফর্ুতি হয়না, কারণ পরদিন রবিবার সকালে চর্াচে যেতে হয়। সারা রাতভর ফর্ুতির পর ঈশ্বরের কাছে যেতে বোধকরি খারাপ লাগে।

এই দুই রাতে পুলিশের শুরু হয় মচ্ছব, পাবলিকের গাড়ি আটকে বিভিন্ন ধরণের প্যাঁদানি দেওয়া হয়, বিভিন্ন অপরাধে। আমরা হচ্ছি গোলামেও না, আযমেও না টাইপ বাংগালি। অন্যথায় বলা চলে সাত চড়ে এক রা। আমাদের ধাতে এসব সয় না। গত শুক্রবার গেলাম সিনেমা দেখতে।

সুপারম্যান রিটর্ানস । ছবিটা এক কথায় রদ্দিমাল। শোঁ শাঁ শব্দে সুপারম্যান উড়ছে। সব অসম্ভব সম্ভব করছে। চিরাচরিত ফিল্মি কায়দায় তার একটা নায়িকাও আছে।

ঝুমায়ুনিয় র্দশনে মহামানব (সুপারম্যান এর বাংলা ) হওয়ার জন্য যে সমস্ত গুণ দরকার সব তার আছে । তার পা যাতে না পিছলায় সেজন্য ছবিতে নায়িকার বোন বা বান্ধবী কোন কিছুর অস্তিত্ত্ব নেই। আর শক্তিমত্তার কথা নাই বললাম। সব ছবির নায়কের দুটো দর্ুবলতা থাকে। এক ঃ নায়িকা , দুইঃ মা-বাবা, দেশ , দল ।

প্রথমটা মহামানবের আছে , দ্্বিতীয়টা ছবি ভেদে তারতম্য হয়। আমাদের মহামানবের দ্্বিতীয় দর্ুবলতা হল ক্রিপটোনাইট নামক একটা তেজক্রিয় বস্তু। সবুজ রংয়ের হালুয়ার মত পদর্াথটি সামনে আসলেই উনি চোখ মুখ উলটে, গা গা করে চিৎ হয়ে যান। তবে এই ছবির বিকট ব্যাপার হচ্ছে, এখানে সম্পর্ূন স্বপ্নে প্রাপ্ত একটা ফরমুলা ব্যবহার করে ক্রিস্টাল গ্রোথ করা হয়। এই জায়গায় ছবিটা সব ধরণের বুজরুকির র্উধে চলে গেছে।

মানে সব বুজরুকি কে পেছনে ফেলে এক ধরণের র্নিবাণ প্রাপ্ত হয়েছে । আমি নিজে অন্ন-বস্ত্রেএবং প্রেষণার দায়ে ক্রিস্টাল গ্রোথ করবার চেষ্টা করি। এই চেষ্টার ব্যতিচার এমনই যে, মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্নে দেখি আমার ঘরের সব কিছুই ষড়ভূজ আকৃতির ক্রিস্টাল হয়ে গেছে । কলা থেকে শুরু করে সাবান সবই ক্রিস্টাল হয়ে যায়। এই ছবিতে মহামানবের বিপরীতে অভিনয়কারী দস্যু ( কেভিন স্পেসি) লেক্স লুথার তার হাওয়াই জাহাজে করে যায় ক্রিপটন, শিস দিয়ে বানায় ক্রিস্টাল।

আর নায়কের কাজ হচ্ছে নায়িকার আশে পাশে গিয়ে তার সি থ্রু পাওয়ার ইউজ করা। আসমানে ভেসে থাকা আর শুনা কে কোথায় বলল বাঁচাও বাঁচাও । সাধারণত নায়িকাই এই চিৎকারটা বেশী করে। সবশেষে দেখা যায় দস্যু পরাস্ত, একলা দ্্বীপে বসে সে নারকেল ভাঙ্গছে। কারণ তিন লাখ নারকেল থেকে সে যে তেল পাবে সেটা দিয়ে তার প্লেন উড্ডয়ন করবে।

নায়ক ভীষণ ভাবে আলাস্কা সমান একটা দ্্বীপ কাঁধে নিয়ে মহাশূন্যে ছুড়ে আসে। সব ছবির মত এটাতে মধুরেণ সমাপয়েৎ হয় না। নায়িকা আগেই বিবাহিত, তাই নায়ক তার ছেলেকে আদর করে, ডিউটির টানে ছুটে যায় আসমানে। এই ছবি দেখে আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশে একটা র্যাবম্যান টাইপ একটা কিছু করা গেলে ভাল হত। চৌষট্টি ডিসট্রিক্ট এর আকাশে, চৌষট্টি জন ভাসমান থাকতেন।

তাদের নেতা বুদবুদজামান র্সবক্ষণই ভাসছেন। আমরা সুখে শান্তিতে আমাদের ঘরে বসে নটে গাছ মুড়োতে পারতাম। ======================================= 2' সরা জুলাই, 2006 রাত 8:52 কলাম্বিয়া।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।