রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। এটি একটি বহুল উচ্চারিত অভিযোগ। এ অভিযোগ নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, আমরা মুখে বলি প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ; কিন্তু কাজকর্মে জনগণকে কাছে ভিড়তে দেই না। জনগণকে কোনো দল ধর্তব্যের মধ্যে নেয় না। তার সহজতর প্রমাণ হলো দেশে আজও সংবিধান প্রদর্শিত পথে স্থানীয় সরকার হয়নি। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান শনিবার এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যে বক্তব্য রেখেছেন তা বিশেষ তাৎপর্যের দাবিদার। জনগণ হলো দেশের মালিক-মোক্তার। ক্ষমতার উৎসও তারা। কিন্তু রাজনীতিকরা মুখে এ বক্তব্য স্বীকার করলেও কার্যক্ষেত্রে বৈপরীত্যে ভোগেন। জনগণকে নিয়ে কার্যত কোনো রাজনৈতিক দলই ভাবে না। স্থানীয় সরকারগুলো সক্রিয় এবং শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাদের অনীহা চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি দল নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ওয়াদা করলেও কার্যক্ষেত্রে তারা এটিকে ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদার বানানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রতিটি সরকার এবং রাজনৈতিক দলের কায়েমি স্বার্থবাদ নানা অজুহাতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে অকার্যকর করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ফলে সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগসূত্র গড়ে ওঠে না বললেই চলে। গণতন্ত্র চর্চায় সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততাও যথাযথভাবে গড়ে উঠছে না। সুশাসনের সুযোগও স্বাভাবিকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক শাসনকে অর্থবহ করে তুলতে হলে জনগণকে গুরুত্ব দিতে হবে। মনে-প্রাণেই বিশ্বাস করতে হবে প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাদের কল্যাণেই রাজনীতিকে পরিচালিত করতে হবে। দেশ শাসনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।