তবে প্রধানমন্ত্রী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন কি-না তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে গত ২১ এপ্রিল ভারতের সঙ্গে তিনটি চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ সরকার।
তবে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবিদ, বিশেষজ্ঞ ও রামপালের স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানী থেকে সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এই লংমার্চ এখন সুন্দরবনের পথে।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বলা হচ্ছে, পরিবেশ দূষণ ও প্রতিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সর্তক থেকেই রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ চায়। সাধারণ মানুষ যা চায় সেদিকে আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছি। ”
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “২২ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। ওইদিন আপনারা আসবেন।
”
লংমার্চ ও পরিবেশ বিপর্যায়ের শঙ্কার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “আবেগ দিয়ে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এটা বুঝতে হবে। তাদের সমালোচনা তথ্যভিত্তিক নয়, প্রযুক্তিভত্তিক নয়। আমরা ইমোশনের ওপর ভিত্তি না করে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।