আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামপালে ভিত্তিস্থাপন ঠেকানোর ঘোষণা

এ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সুন্দরবনমুখী লংমার্চের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার মাগুরায় এক পথসভায় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এই ঘোষণা দেন।
“যে কোনো মূল্যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও  জনগণকে সাথে নিয়ে সুন্দরবন ধ্বংসকারী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ঠেকানো হবে। ”
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আগামী ২২ অক্টোবর কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন হবে।
সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ভারতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে।


বাম সমর্থিত লংমার্চকারীরা বলছেন, কয়লাভিত্তিক এই প্রকল্প জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয়, তা মাথায় রেখেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনকারীরা যুক্তির বদলে আবেগ দিয়ে চালিত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তৌফিক ইলাহী।
মাগুরার পথসভায় তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মহম্মদ বলেন, “জ্বালানি উপদেষ্টা বলেছেন, লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের কোনো কাজ নাই। তাই তারা লংমার্চ করে বেড়াচ্ছে।


“লংমার্চকারীরা দেশের স্বার্থে কাজ করছে। কিন্তু তৌফিক-ই-ইলাহী বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সর্বনাশ করে কমিশন খাওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। ”
মাগুরায় লংমার্চের পথসভায় গণজাগরণ আন্দোলনের নেত্রী ছাত্র ইউনিয়নের সমাজকল্যাণ সম্পাদক লাকি আক্তার। মাগুরা শহরে পৌর ভবনের সামনে এই সভায় জেলার প্রবীণ শিক্ষক মাহফুজুল হক নিরো সভাপতিত্ব করেন। সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, মীর নাজমুল হোসেন শাহীন, শরীফ তেহরান টুটুল সভায় বক্তব্য দেন।


মাগুরায় লংমার্চের পথসভায় গণজাগরণ আন্দোলনের নেত্রী ছাত্র ইউনিয়নের সমাজকল্যাণ সম্পাদক লাকি আক্তার।
সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহ আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, শহিদুল হক সবুজ, সাইফুল হক, বজলুর রশিদ ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে যাত্রা শুরু করে ফরিদপুর হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা শহরে পৌঁছায় লংমার্চ।
মাগুরায় সমাবেশ লংমার্চকারীরা ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর যশোরে দিনের শেষ সভা করে সেখানে রাত কাটাবে আন্দোলনকারীরা।


২৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের মংলা উপজেলার দিগরাজ এলাকায় সমাবেশ ও ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.