গত তিন দশক ধরে সম্পর্কের জটিলতার মধ্যেই শুক্রবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ইরানে গত শতকের ৭০ এর দশকে ইসলামী অভ্যুত্থানে ওয়াশিংটনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত শাহ মোহাম্মদ রেজা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের দ্বন্দ্ব চলছে।
এরপর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে শিয়াপ্রধান মুসলিম দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরো নাজুক হয়ে পড়ে।
এর মধ্যেই সিরিয়া সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার পর ইরানি প্রেসিডেন্টকে ওবামা টেলিফোন করলেন, যা পরমাণু কর্মসূচি তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কের অবসানের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটাল বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরানের পরমাণু সঙ্কট নিয়ে ওবামা বলে আসছিলেন, পরমাণু বোমা তৈরি থেকে তেহরানকে বিরত রাখতে সম্ভাব্য সব কিছুই করবেন তিনি এবং তা আলোচনা থেকে শুরু করে সামরিক অভিযান পর্যন্ত হতে পারে।
ওবামার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে রুহানি টুইটারে লিখেছেন- কথপোকথনের ইতিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শুভ কামনা করেছেন এবং মুসলিম বাবার সন্তান ওবামা বলেছেন- ‘ধন্যবাদ, খোদা হাফেজ’।
হোয়াইট হাউসে ওবামা সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে জটিলতার দ্রুত অবসান ঘটানোর ওপর আলোচনায় জোর দেয়া হয়েছে।
দুই নেতার এই কথোপকথনের বিষয়ে আটলান্টিক সেন্টারের সাউথ এশিয়া সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ফেলো ইয়াসমিন আলিম বলেন, টেলিফোনে এটি কথপোকথন একটি মাইলফলক।
“শান্তিপূর্ণে উপায়ে পরমাণু সঙ্কট নিরসনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটেছে এতে।”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।