সৌদি আরব বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আবারও তাদের দরজা উন্মোচিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বৃহত্তম শ্রম বাজার সৌদি আরবে ২০০৮ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রয়েছে। বন্ধের আগে প্রতি বছর দেড় লাখ বাংলাদেশি সৌদিতে কর্মজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ডেইলি আরব নিউজ জানায়, সে দেশের সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা দেওয়া চালু করবে। পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য এ নিয়োগ অব্যাহত থাকবে। স্মর্তব্য, প্রায় ছয় বছর জনশক্তি রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও সৌদি আরব এখনো দেশের অন্যতম শীর্ষ শ্রমবাজার হিসেবে পরিচিত। এ দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার। সৌদি আরবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে গৃহকর্মী সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সেবা শুরু করা হবে। এ সেবার আওতায় বাসাবাড়ি বা অফিসে সাপ্তাহিক বা ঘণ্টা ভিত্তিতে গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া যাবে। সৌদি ম্যান পাওয়ার সার্ভিস কোম্পানি এ ব্যাপারে ফিলিপাইন, নেপাল, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে ছয় হাজার কর্মী নেওয়ার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তে সে দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের আবারও কাজ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশ্বমন্দায় দেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা যখন মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে তখন এটি একটি সুসংবাদ বলে বিবেচিত হচ্ছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের এক বড় অংশ পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী হিসেবে কাজ করে। এ ব্যাপারে তাদের সুনামও রয়েছে। নতুন করে এসব ক্ষেত্রে লোক নিয়োগ করা হলে তাতে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ পাওয়ার সুবিধা সম্প্রসারিত হবে। বর্তমান সরকারের আমলে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা চলেছে। প্রতারণা বন্ধেও নেওয়া হয়েছে ইতিবাচক উদ্যোগ। এসব ক্ষেত্রে সাফল্যের বিষয়টি যেমন স্বীকৃত, তেমন জনশক্তি রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে না পারার ব্যর্থতাও রয়েছে। বিশ্বমন্দার কারণে শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে পড়ায় এই অনভিপ্রেত অবস্থার সৃষ্টি হয়। আশা করা যায়, সৌদি আরবের শ্রমবাজার উন্মোচিত হলে এ ক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা কিছুটা হলেও কাটবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।