আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদ্যোগ সম্ভাবনা নিয়ে ‘স্টার্টআপ ঢাকা’

কী এই স্টার্টআপ? সোজা বাংলায়-- যে কোনো ব্যবসায় অভিনব উদ্যোগকেই বলা চলে স্টার্টআপ। অনেকসময় বন্ধুদের আড্ডা থেকে পাওয়া ‘আইডিয়া’ থেকেই সেই বন্ধুরা মিলে গড়ে তোলেন একটা স্টার্টআপ।
বাংলাদেশেও রয়েছে এমন তরুণ উদ্যোক্তাদের তৈরি স্টার্টআপ। তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো সংগঠিত নয়, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন তারা। কখনও-বা নানা প্রতিবন্ধকতা আর প্রয়োজনীয় পরামর্শের অভাবেই অংকুরেই ঝড়ে যাচ্ছে এই স্টার্টআপ ব্যবসাগুলো।

আবার অনেকে সাফল্যও পেয়েছেন।
ঢাকায় প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপের নানা চড়াই-উৎরাই, আর সাফল্যের গল্পগুলো বলতে শর্টফিল্ম বানাচ্ছেন তরুণ নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান খান।
‘স্টার্টআপ ঢাকা’ নামের শর্টফিল্ম কেন, পেছনের কারণগুলো আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নতুন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা হল স্টার্টআপ ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান খানের সঙ্গে। শুরুটা হল-- স্টার্টআপ কী সেই প্রশ্ন দিয়েই।
মোস্তাফিজুর রহমান খান : যে কোনো ধরনের ব্যবসাই স্টার্টআপ হতে পারে।

ভেনচার ক্যাপিটালিস্ট এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক স্টিভ ব্ল্যাংকের একটা সংজ্ঞা আমি সবসময় ব্যবহার করি। উনি বলেছিলেন, “স্টার্টআপ হচ্ছে এমন একটা প্রতিষ্ঠান, যা কিনা একটা বিজনেস মডেল খুঁজছে, মুনাফা পুনরাবৃত্তির জন্য। ”
আর স্টার্টআপের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রথাগত ব্যবসার তুলনায় অনেক দ্রুত বেড়ে উঠে স্টার্টআপ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ফেইসবুকের কথা। মার্ক জাকারবার্গ ফেইসবুক লঞ্চ করার অল্প সময়ের মধ্যেই ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

যেটা প্রথাগত ব্যবসার ক্ষেত্রে অসম্ভবই বলা চলে।
প্রশ্ন : স্টার্টআপ ঢাকার শুরুটা কীভাবে?
মোস্তাফিজুর : আমি দেশের বাইরে পড়াশোনা শেষ করার পর কয়েক বছর ব্যাংকে কাজ করেছি। এরপর সিঙ্গাপুরে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। সে সময় সিঙ্গাপুরে আমি একটা ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম খুলে বসলাম, যার কাজ ছিল স্টার্টআপ ফার্মগুলোর ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিক পর্যায়ে যে মূলধন প্রয়োজন, সেটা দেওয়া। কারণ, স্টার্টআপগুলোর পুরনো কোনো রেকর্ড থাকে না বলে ব্যাংক থেকে সাধারণত তাদের লোন দেয় না।


দেশে ফিরে আমি যখন স্টার্টআপ নিয়ে কাজ শুরু করলাম, তখন অনেক সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তার পাশাপাশি কয়েকটা সমস্যাও পেলাম। ব্যবসা নিয়ে মূল আইডিয়া অনেক ভালো হলেও খুটিনাটি অনেককিছু নিয়ে উদ্যোক্তাদের পরিষ্কার ধারণা ছিল না। আইডিয়াটাকে বাস্তবায়ন করে কীভাবে একটা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করবে, সেই পরিকল্পনায় অনেক ক্ষেত্রেই ঘাটতি ছিল।
তখনই একটা শর্টফিল্ম তৈরি করার কথা মাথায় আসে আমার, যার মাধ্যমে আমরা বংলাদেশের স্টার্টআপ কমিউনিটির সঙ্গে জড়িতদের সাফল্যের গল্প, নানারকম প্রতিবন্ধকতা ও চড়াই-উৎরাইয়ের গল্পগুলো তুলে ধরতে পারি।
একেবারে অল্পকথায় যদি বলতে হয়, স্টার্টআপ ঢাকা শর্টফিল্মটা বানাবার পেছনের মূল তিনটা কারণ হচ্ছে--
১. স্টার্টআপ নিয়ে অনেক সম্ভাবনাময় কাজ হচ্ছে, যা আমরা বিশ্বকে জানাতে চাই।


২. ঢাকার স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের এটা জানানো যে, যে কোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার জন্য, পরামর্শের জন্য স্টার্টআপ ঢাকা তাদের পাশে আছে।
৩. শর্টফিল্মটার মাধ্যমে ঢাকার স্টার্টআপ কমিউনিটি আরও সংগঠিত করে তুলতে চাই।
প্রশ্ন : কী থাকছে স্টার্টআপ ঢাকায়?
মোস্তাফিজুর : মূলত দুটি জিনিস তুলে ধরছি আমরা শর্টফিল্মে। এক. ঢাকার স্টার্টআপ কমিউিনিটির সঙ্গে কিছু উদ্যোক্তা আর বিনিয়োগকারীরা জড়িয়ে আছেন। ঢাকার স্টার্টআপ কমিউনিটিকে সংগঠিত করতে, স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সাহায্য করতে কাজ করছে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলো তুলে ধরা।

দুই. ঢাকার স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরা।
প্রশ্ন : পরবর্তী পদক্ষেপটা কী হবে?
মোস্তাফিজুর : শর্টফিল্ম দিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে না আমাদের কাজ। শর্টফিল্মে যেমন সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরছি আমরা, সে রকম সাফল্যের গল্পগুলো নিয়ে আমরা একটা ওয়েব সিরিজ করতে চাই। আমাদের ফেইসবুক পেইজ আছে, ইউটিউব চ্যানেল আছে, নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। এগুলোর মাধ্যমে ওয়েব সিরিজ বানিয়ে নতুন স্টার্টআপ প্রতিষ্টানগুলোকে তুলে ধরতে চাই।

আর এর মাধ্যমে পুরো এশিয়ার স্টার্টআপ কমিউনিটির সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কমিয়ে আনতে চাই।
আসছে ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে শুরু হবে ‘বিশ্ব উদ্যোক্তা সপ্তাহ’। সে সময়েই স্টার্টআপ ঢাকা শর্টফিল্মটি লঞ্চ হবে বলে জানালেন মোস্তাফিজুর।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।