আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর্সেনিক ঝুঁকিতে মাদারীপুর

মাদারীপুরে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে আর্সেনিক। প্রতিমাসেই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা থাকলেও আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানির অভাবে এই রোগ এখন ভয়াবহ রূপ নিতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলায় আর্সেনিকোসিস, ম্যালেনোসিস ও ক্যারোটোসিস রোগ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩০ জন। মাদারীপুর একটি অনুন্নত জনপদ। ১১৪৪ দশমিক ৯৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত জেলার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৫ জনের মধ্যে ৬০ ভাগ মানুষ চরম আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে। এ জেলার মাটির নিচে অপেক্ষা করছে সেকো বিষ। প্রাণঘাতি এ আর্সেনিক বিষ দ্রুত বিস্তার করছে জেলার সর্বত্র।

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে যেখানে রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৬২ জন। ২০১০ সালের অক্টোবরে রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজারের উপরে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার ৪টি উপজেলাই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সদর উপজেলার ঘটকচর, দত্তরহাট, গাজীরচর, শ্রীনাথদি, খোয়াজপুর, কেন্দুয়া; রাজৈরের হৃদয়নন্দি, আদর্শগ্রাম, টেকেরহাট, শঙ্করদিরপাড়ে; কালকিনির বালিগ্রাম, ধুয়াসার; শিবচরের কাচিকাটা, গুয়াতলা, দত্তপাড়া, বন্দরখোলা, পাচ্চের গ্রামে এর ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি। এসব অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানিতে মানবদেহে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অতিমাত্রার আর্সেনিক রয়েছে। এ সব এলাকার ৮৭ ভাগ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক উপস্থিতি শনাক্ত করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল র্অিধদপ্তর।

গণউন্নয়ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, জেলার মোট ১৭ হাজার ১৬টি নলকূপের মধ্যে ৬ হাজার ৫৯৫টি গভীর নলকূপ ও ১০ হাজার ৪২১টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫৫টি সম্পূর্ণ অকেজো। শুধু ৪৪টি নলকূপে আর্সেনিকের মাত্রা .০৫ মিলিগ্রাম নিচে এবং ২৫টিতে কোনো আর্সেনিক নেই। জরিপকৃত বাকি সব নলকূপের পানিতে .০৫ মিলিগ্রাম উপরে অর্থাৎ মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক বিদ্যমান।

এদিকে গ্রামের ৮০ ভাগ মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে। পর্যাপ্ত গভীর নলকূপ না থাকায় এসব এলাকার আর্সেনিকমুক্ত পানির সংকট রয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলায় আর্সেনিকজনিত রোগে মারা গেছে ৩০ জন।

মাদারীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম খান জানান, জেলার প্রতিটি উপজেলায় নতুন নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। তাছাড়া শহর এলাকার জন্য ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.