বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প কঠিন ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প নারীর ক্ষমতায়নসহ দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি রানা প্লাজা ধসের পর এ শিল্প কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সব পদক্ষেপের সঙ্গে কানাডা রয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটির অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন কানাডার এই রাষ্ট্রদূত। অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জেফরি ক্রিলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেসবাহ রবিন। মিকাইল শিপার বলেন, ২০০৬ সালের শ্রম আইন সংশোধন করার পর এখন শ্রমিকদের অধিকার ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার সমুন্নত হয়েছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭২টি ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধিত হয়েছে।
জেফরি ক্রিলার জানান, পাঁচ বছরের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে অ্যালায়েন্স। এর মধ্যে কারখানা পরিদর্শন ছাড়াও ক্রেতাদের কারখানা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা, চলতি মাসের মধ্যে সমন্বিত বিধি প্রণয়ন এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসের মধ্যে শতভাগ কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তাজনিত প্রশিক্ষণসূচি প্রণয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচি শুরুর লক্ষ্যে পাঁচ কোটি ডলার প্রদান করবে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের প্রস্তাব করায় পরবর্তীতে সর্বমোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ কোটি ডলার।
আতিকুল ইসলাম এ সময় বলেন, শুরুতে অপরিকল্পিতভাবে এ শিল্প গড়ে উঠলেও এখন যেসব কারখানা হচ্ছে তা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। শ্রমিকদের অধিকার ও যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য তিনি পোশাকের দাম বৃদ্ধির দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি সংগঠনটি কাজ করবে। জোটভুক্ত ৬৮৬টি কারখানা পরিদর্শন, অগি্ন ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত একটি সমন্বিত বিধি প্রণয়ন এবং শ্রমিক ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পাঁচ বছর কাজ করবে এ জোট। ২৬টি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এ জোটের সঙ্গে যুক্ত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।