ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে যারা ঘরে ফেরার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা পড়েছেন বিপাকে। বাস-লঞ্চ-ট্রেন সর্বত্রই ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। বুধবার সকাল ৯টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও মঙ্গলবার রাত থেকেই লাইন দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিন অনেকেই টিকিট কিনতে পারেননি। বাস ও লঞ্চ কেবিনের টিকিট কাটতেও একই অবস্থার শিকার হতে হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস ও লঞ্চের ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবরের টিকিট কালোবাজারিদের দখলে চলে গেছে। কাউন্টারে গেলে শোনানো হয়। নির্ধারিত তারিখের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে টিকিট সংকট তত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। কমলাপুর রেলস্টেশনের চিত্রও একই। অগ্রিম টিকিটের জন্য স্টেশনে রাত-দিন কাটাচ্ছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, লাইনে দাঁড়ানো ৮০ ভাগ মানুষই টিকিট পান না। ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের দেশে দুই ঈদে মানুষ ঘরমুখী হয়ে ওঠে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য তাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকে না। ফলে কালোবাজারিদের পোয়াবারো অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। এবার ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব একই সময়ে হাজির হওয়ায় ঘরমুখী মানুষের সংখ্যা শতকরা অন্তত ১০ ভাগ বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কালোবাজারি। ট্রেন বাস ও লঞ্চের টিকিট কাটতে গিয়ে ঘরমুখো মানুষকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যারা ট্রেনে করে ঘরে ফিরতে চান তাদের ভোগান্তি যেন সব চেয়ে বেশি। ট্রেনের টিকিটের এক-তৃতীয়াংশ রিজার্ভ রাখা হয় প্রভাবশালীদের জন্য। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেককে খালি হাতে ফিরতে হয়। ঈদ বা পূজোয় ঘরে ফেরা বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। ব্যবস্থাপনায় গতি এনে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমানো যেতে পারে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সুনজর কাম্য।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।