আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রস্রাব চেপেছে, শৌচাগার না পেলে কি করবেন?



প্রস্রাব চাপলে তা না ত্যাগ করতে পারাটা যেমন অস্বস্তিকর তেমনই কষ্টদায়ক। কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, গোপনীয়তা, সময়-সুযোগ না থাকলে এবং আসে পাশে শৌচাগার না পেলে কি করবেন তা জানতে পড়ুন আমাদের আজকের পোষ্ট। ১. মূত্রনালী চেপে রাখুন: প্রস্রাব চপলে মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই এটি করে থাকে। কিন্তু সময় বাড়ার সাথে সাথে এর আসে পাশের মাংশপেশীগুলোর উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই কোমর এবং পেটকে এলিয়ে দিন।

২. দেহের ভঙ্গি পরিবর্তন করুন: দেহের ভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার মূত্রনালী এবং এর আসে পাশের মাংশপেশীকে প্রস্রাব ধরে রাখার কাজে সাহায্য করে। নিচের বিষয়গুলো মাথা রাখবেন- - পাকস্থলীর নিচের অংশে চাপ দিবেন না। - দাঁড়িয়ে থাকলে পা পেঁচিয়ে দাঁড়াবেন। - বসে থাকলে পা পেঁচিয়ে বসবেন না। - অনেক্ষণ সময় চেপে রাখার প্রয়োজন হলে পা যতটা সম্ভব পা ছড়িয়ে দিন।

আপনার মনে হতে পারে আপনি আর প্রস্রাব ধরে রাখতে পারবেন না, কিন্তু তা মাত্র ২০ সেকেন্ডের জন্য মনে হবে। তারপর আবার সেই বোধ চলে যাবে। - এমন একটি ভঙ্গিতে দাঁড়ান বা বসুন যা আপনার দেহের ভারসাম্য রক্ষায় পেটের উপর কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ না করে। - সামনের দিকে ঝুঁকে কোন কাজ করবেন না। - কোমরের নিচের অংশ সামনের দিকে তুলে ধরবেন।

- মেরুদন্ড সোজা করে রাখুন। ৩. নিজেকে উষ্ণ রাখুন: শরীরের উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য গরম কাপড়, কাঁথা, লেপ বা কম্বলে মুড়িয়ে রাখুন। শরীরকে গুটিয়ে রাখুন। ৪. দেহকে ঝাঁকি মুক্ত রাখুন: ঝাঁকি তৈরি করে এমন বাহন বা স্থান থেকে সড়ে আসুন। হঠাৎ করে দেহের অবস্থান পরিবর্তন থেকে বিরত থাকুন।

- শৌচাগারের সামনে এসে দৌঁড়ে প্রবেশ করার চিন্তা কারবেন না। - দৃঢ় গতিতে পা ফেলুন, দৌঁড়াবেন না। - যতটা নমনীয় ভাবে সম্ভব কাজ করুন। ৫. পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন: পানি, কোমল পানীয় এবং অন্যান্য তরল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমন কি পানি, ঝড়না অথবা বৃষ্টির কথা মাথায়ও আনবেন না।

৬. ধূমপান করবেন না: ধূমপানের ফলে দেহে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় যা প্রস্রাবের চাপকে বাড়িয়ে দেয়। ৭. মনকে অন্য খাতে পরিচালনা করুন: কারও সাথে কথা বলুন, ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন। আপনার প্রস্রাব চেপেছে এমন চিন্তায় চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। ৮. হাসবেন না: হাস্যকর পরিস্থিতি বা হাসি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। হাসির ফলে পেটের মাংসপেশীতে চাপ পড়ে।

ফলে প্রস্রবের চাপও বেড়ে যায়। ৯. শৌচাগার খুঁজুন: আসে পাশের লোকজনকে নিকটস্থ শৌচাগারের সন্ধান দিয়ে সাহায্য করতে বলুন। ১০. সবশেষে একটি অনুরোধ সবার কাছে, যাদের সামর্থ্য আছে তারা পথের পাশে শৌচাগার তৈরি করুন। আমাদের পথে ঘাটে যে পরিমাণ ব্যাংকের বুথ আছে তার অর্ধেকও যদি গণসৌচাগার থাকতো তাহলে এত কষ্টকরে পোষ্টটি লিখতে হতো না। ধন্যবাদ সবাইকে।

(সংগৃহীত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.