আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩১ জঙ্গির কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ব

বরগুনায় জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার পাকিস্তানপন্থি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাদেশের প্রধান মুফতি মো. জসিমউদ্দীন রহমানীসহ ৩১ জনকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকালে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মাসুম বিল্লাহ এ নির্দেশ দেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে শহরের উপকণ্ঠে দক্ষিণ খাজুরতলার একটি বাড়িতে বৈঠককালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি রহমানীসহ ৩১ জনকে গ্রেফতার করে বরগুনা থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে কিছু জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার শ্যামলকুমার নাথ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মুফতি রহমানী একজন উগ্রপন্থি ইসলামী নেতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুফতি রহমানী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আহলে হাদিসসহ অনেক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচারের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি আনসারুল্লাহ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেননি। তিনি আরও বলেন, রহমানীকে জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হরকাতুল জিহাদের প্রধান হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে জসিমউদ্দীন রহমানীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। মুফতি রহমানীর সঙ্গে গ্রেফতার অন্যরা হলেন আবদুর রহমান মাতুব্বর, আশরাফ আলী, আউয়াল সিরাজ, ইউসুফ মৃধা, আলমগীর হোসেন, জামাল হোসেন, আবদুল জব্বার, মো. বাদল, কারি আবদুস সালাম, আবু সালেহ্, হাসান, আসলাম, আবদুল্লাহ, নাঈম, আল-আমিন, আবুল কালাম, ফোরকান, হাসান, মিজানুর রহমান, আবু সালেহ্, আইউব আলী, আবদুল্লাহ, সেলিম, মনিরুজ্জামান, মাঈনুদ্দীন, শহিদুল ইসলাম, খলিল হাওলাদার, জোনায়েত ইসলাম, আবদুল জলিল ও মহিব্বুল্লাহ। তাদের সবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। গ্রেফতারের পর কয়েকজন জানান, তারা সবাই মুফতি রহমানীর ভক্ত। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার কথা শোনার জন্যই তারা ওই বাড়িতে সমবেত হয়েছেন। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীলমণি চাকমা জানান, এদের বিরুদ্ধে সোমবার বিকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মুফতি রহমানীর বিরুদ্ধে ঢাকায়ও দুটি মামলা রয়েছে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুফতি জসিমউদ্দীন রহমানী বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিণ হেউলিবুনিয়া গ্রামের মৃত নূর হাওলাদারের ছেলে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে চতুর্থ রহমানী বরগুনা শহরের ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাফেজি পাস করেন। পরে ঢাকার মোহাম্মদপুরে জামেয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখান থেকে দাওরা পাস করেন। এরপর ভারতের দেওবন্দে পড়াশোনা করেন এবং হায়দরাবাদের সাবেলুস সালাম মাদ্রাসা থেকে মুফতি ডিগ্রি নেন। এরপর তিনি ঢাকার জামেয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায় ও বরিশালের মাহমুদিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০৪ সালে বরগুনা সদরঘাট মসজিদের প্রধান খতিব হিসেবে চাকরি করেন। পরে সৌদি আরবের মদিনায় লিসান্স বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর দেশে ফিরে প্রথমে ধানমন্ডির হাতেমবাগ মসজিদের খতিব ছিলেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.