”সব রাজাকারদের বিচার চাই”
আজকাল কিছু সন্ত্রাসী মিডিয়া এবং স্যোসাল মাধ্যমগুলোতে বাল্যবিবাহের বিরুদ্বে ব্যাপক লিখালেখি করছে কাফিরদের দোসররা। মূলত নামধারী কিছু মুসলমান যারা কিনা কাফিরদের খুদ-কুড়া পাওয়ার গোলাম তারাই সুন্নতী বাল্যবিবাহের বিরুদ্বে প্রপাগন্ডামূলক অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
অথচ বাল্যবিবাহ একটি নিয়ামত এবং বেমেছাল উপকারীতার একটি কল্যানকর দিক। যার মধ্যে কোনও খারাপী এবং অপকারী কিছুই নেই। বিরুদ্বে যা প্রচার করা হয়, তার পুরোটা বানোয়াট অথবা তাদের কৃত্তিম সৃষ্টি করা।
একটি বিষয় সবাই মনে রাখবেন: বৈজ্ঞানিকভাবেও আজ পর্যন্ত কোনও সুন্নতী বিষয়কে খারাপ বা অকল্যানকর বা অপকারমূলক প্রমান করতে সক্ষম হয়নি, সেখানে সুন্নতী বাল্যবিবাহ কি করে খারাপ হতে পারে? যৌক্তিক কোনও প্রমান দাড় করাতে পারবে না যে বাল্যবিবাহ খারাপ। বরং এটাই প্রমান হবে যে বেশি বয়সে যেসমস্ত মেয়েদের বিয়ে হয়েছে তাদের থেকে হাজারগুন ভাল সংসার করে কম বয়সে বিবাহীত মেয়েরা এবং সংসার ভাঙ্গনের হার বেশি যারা কিনা বেশি বয়সে বিয়ে করেছে। আর এগুলো আপনার চারপাশে সামান্য চোখ ঘুরালেই দেখতে পাবেন অহরহ।
এখন কিছুদিন আগের একটি ঘটনা শেয়ার করবো যদি খুদ-কুড়াদের কিছু বোধদয় হয়, এজন্য। মূলত গ্রাম এলাকার ঘটনাটি।
একটি মেয়ের বয়স পনের বছর। যথেষ্ট ম্যাচ করে চলতে পারার মত বয়স। মেয়েটাও মোটামুটি কাজকামে গোছগাজ। তাই পরিবার বিয়ে ঠিক করেছে। দিন তারিখ সব ফাইনাল।
ছেলেটাও ভাল একটা জব পেয়েছে। কিন্তু যেদিন বিয়ে হবে সেদিন এক সন্ত্রাসী মিডিয়ার লোক খোজ পায় যে ১৫ বছরের একটি মেয়ের বিয়ে হবে আজ। তাই সে ইনফর্ম করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। ব্যাস। সে দৌড়ে এসে বিয়ে বন্ধ করে দিল।
আরও কত কি কাহিনী।
যাইহোক এভাবে বিয়েটা পন্ড করে দিল আহমক অফিসার এবং সন্ত্রাসী মিডিয়া। কিন্তু মজার বিষয় হলো, বর্তমানে সে অবিবাহিত মেয়েটি পেগন্যান্ট। তার প্রেমিকের দ্বারা সে সন্তানসম্ভবা। বয়স ১৬ হয়েছে।
এখন তার মুখ দেখানো দায় হয়ে গেছে সমাজে এবং নিজ পরিবারে।
উল্লেখ্য যে, সে মেয়েটির এই অবস্থায় সেই সন্ত্রাসী মিডিয়ার মেীলবাদী সাংবাদিককে খবর দেয়া হলে সে এড়িয়ে যেতে চায়। মেীলবাদী সাংবাদিকটা বলে এটা ওদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার আমাদের নাক গলানো উচিত নয়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলা হলে সে প্রতিউত্তরে বলে আমি এখনও কিছু জানিনা। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক এটাই হচ্ছে আধুনিক এবং সভ্য সমাজের প্রত্যহ চিত্র। পেপারে দেখবেন সুন্নতী বাল্যবিবাহের বেলাই সামান্য খবর পেলেও ছুটে যায় সবাই। কিন্তু মেয়েদের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ সতীত্ব চলে গেলেও সবাই নির্বাক এবং উপভোগের দর্শক সেজে যায়। এরকম ভুরিভুরি খবর পত্রিকায় দেখতে পাবেন।
এখন কথা হল, এই ভন্ডামীগুলো আর কতোদিন সমাজে ও দেশে চলতে থাকবে।
কাফিরদের চরিত্র নষ্টের চক্রান্ত মুসলমানরা আর কতোদিন মুখ বুজে সহ্য করবে। একটি পরিবারের অধিকার খর্ব করা কোন মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে? একটি মেয়ের জীবনকে নষ্ট করা কোন সভ্য আইনে আছে? এখন তোমাদের নোংরামী আইন এবং সন্ত্রাসী মিডিয়া দ্বারা পারলে না কেন মেয়েটির সতীত্ব রক্ষা করতে?
তোমরা সতীত্ব হরণকে বলবা ব্যাপার না, আর সুন্নতী বিষয়কে বলবা খারাপ-এই অধিকার তোমাদের কে দিল? কাফিরদের কথিত খুদ-কুড়ার জন্য এমনটা করছো কিন্তু মনে রেখ আল্লাহ পাক যথাসময়ে কড়ায়-গন্ডায় সব হিসেব নিয়ে ছাড়বেন। তখন তোমাদেরকে কোন শক্তি রক্ষা করবে তাই দেখা হবে। তোমরা মদকে বলবা মধু আর মধুকে বলবা মদ, তা বেশিদিন বলতে পারবে না।
উই পোকার যখন মরার সময় হয় তখন পাখা গোজায়।
একটু বেশি দাপিয়ে বেড়াই। তোমাদেরও মরার সময় ঘনিয়ে আসছে। ফলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছ। কিন্তু মনে রেখ উই পেকার মত তোমাদেরও পাখা গোজিয়েছে মাত্র। বেশি কিছু হয়ে যাওনি।
মূলত তোমাদের বেদনাদা্য়ক মরণের বহি:প্রকাশ এগুলো । যা খুব কঠিন এবং অপমানদায়ক শাস্তি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।