ঈদ ও শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের জন্য এবারও বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়াবহ যানজট। যানজটের কারণে বিভিন্ন রুটের বাস নির্ধারিত সময়ে ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। কোনো যানবাহন সময়মতো গন্তব্যস্থলে পেঁৗছতে পারছে না। ট্রেনের ক্ষেত্রে ভিন্ন কারণে শিডিউলে হেরফের ঘটছে। মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে প্রতিটি ট্রেন। প্রতিটি স্টেশনে বিপুলসংখ্যক যাত্রী ওঠানামা করায় যাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে। রেললাইনের পাশে গরুর হাট বসায় ট্রেন চলাচল করছে সতর্কভাবে। ফলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে ট্রেনের শিডিউল। সড়কপথে এমন কোনো রুট নেই যে পথে যানজট নেই। প্রতিটি মহাসড়কে এখন বিরাজ করছে বিরক্তিকর যানজট। টাঙ্গাইল রুটে গাজীপুরের চন্দ্রার আশপাশে যানজট লেগেই আছে। শুক্রবার এখানে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট যাত্রীদের নাকাল করে তোলে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এদিন ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ছিল যানজট। শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় মাধাইয়া থেকে দাউদকান্দির গোমতী সেতু পেরিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর পর্যন্ত যানজট থাবা বিস্তার করে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের ভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মাওয়া এবং মানিকগঞ্জের ফেরিঘাটে যানবাহনের জট বাড়ায় যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ ও শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা বাঙালির যুগ যুগান্তরের অভ্যাস। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে দুই ঈদে এবং শারদীয় দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের দুই বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। যানবাহনের ওপর হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায় চাপ। ফলে অনেক সময় দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি ভাড়ায় ঘরে ফিরতে হয়। তারপর যাত্রাপথে যানজটের অভিশাপ উৎসবের আনন্দকে কিছুটা হলেও ম্লান করে দেয়। এ অবস্থার অবসানে ঈদ উপলক্ষে পর্যাপ্ত যানবাহনের ব্যবস্থা যেমন করা দরকার, তেমনি যানজট থেকে
নিষ্কৃতি পাওয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।