অনেকদিন থেকেই বাতাসে ভাসছিল বিএনপির অভ্যন্তরিন অনৈক্যর নানা কথা। গুঞ্জন ছিল বিএনপি ভেঙ্গে যাচ্ছে। অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যি হতে চলেছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে আোয়ামী লীগো ক্ষমতা না ছেড়েই নির্বাচন করার সব প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছে। প্রয়োজনে তারা রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা দিবে, তবুও তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা দিবে না।
বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনএফ গঠনে তৎপর হলে শঙ্কা জেগেছিল বিএনপি ভাঙার। পরবর্তীতে তিনি বিএনপিতে ফিরে এলেও বিএনএফ গঠন প্রক্রিয়া থেমে নেই। শোনা যাচ্ছে বিএনপির নীতি নির্ধারক হিসাবে পরিচিত দু একজন নেতাও নাকি রয়েছেন বিএনএফ গঠন প্রক্রিয়ার নেপথ্যে।
অসমর্থিত সূত্রে এমনও তথ্য জানা গেছে, নানা কারনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর ক্ষুব্ধ দলের প্রায় সাবেক ৪০/৪২ জন সংসদ সদস্য বিএনএফের ব্যানারে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য দুটি; বিএনপি নির্বাচনে এলে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী হতে না দিয়ে তারা তাদের ক্ষোভ মেটাবেন।
অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনে না এলে নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রমান রেখে নিজেরা সংসদে যেয়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তারা তাদের প্রতি অবহেলার জবাব দিবেন। কয়েকবছর আগে সাবেক এক বিএনপির সংসদ সদস্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৃনমুল বিএনপি গঠনের কথা জানান দিয়েছিলেন। নানা সমীকরনে সে উদ্যেগ জনগনের সামনে আলোর মুখ না দেখলেও সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় আবারও আলোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছে তৃনমুল বিএনপি। তবে সোস্যাল মিডিয়ার তথ্যানুযায়ী সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির শীর্ষ নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ এর নেতৃত্বেই গঠিত হতে যাচ্ছে তৃনমুল বিএনপি। বাতাসে চাউর রয়েছে বেগম খালেদা জিয়া সর্বদলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনে না এলে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় ৮/১০ জন নেতার নেতৃত্বে নির্বাচনে আসতে পারে বিএনপির এই অংশ।
সেক্ষেত্রে তৃনমুল বিএনপির ব্যানারে অথবা স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা।
সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই প্রক্রিয়া সফল হলে প্রায় ২২৫ আসনে প্রার্থী হিসাবে থাকবে বিএনপির বর্তমান ও সংস্কারবাদী হিসাবে পরিচিত নেতারা। বিএনপির শীর্ষ মহলে যে অস্থিরতা চলছে তা চলতি বছরে বিএনপির রাজনীতির গতিধারা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাধারন নেতাকর্মীদের দাবীনুযায়ী বারবার আন্দোলনে যেতে চাইলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করতে পারেনি দলটি। আবার ঘোষিত আন্দেলন সমূহও জমাতে পারেনি দলটি শীর্ষ নেতাদের একাংশের নিষ্ক্রিয়তার কারনে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে উভয় সঙ্কটে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সমঝোতায়ও তিনি আসতে পারছেন না দলের একাংশের নেতাদের চাপের মুখে। আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে দৃশ্যমান সমঝোতার চেষ্টায় না এলে বিদেশী কূটনৈতিকদের চাপে পড়ছে দলটি; দলের অপর একটি অংশও এটিই চায়।
বিএনপির অভ্যন্তরে অন্য একটি বলয় রয়েছে যারা নিজেদের পছন্দমতো নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যেতে দলীয় প্রধানকে অনুপ্রনিত করে চলেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।