বিএনপিতে গৃহদাহ শুরু হয়েছে। এই দাহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে। তৃণমূলের নেতারা কেন্দ্রের নেতাদেরকে আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী করছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা দোষ চাপাচ্ছেন তৃণমূল নেতাদের ওপর। এই অবস্থায় এই দাহ নেভানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হচ্ছে না।
বিএনপির সূত্র জানায়, বিএনপি গত চার বছর আন্দোলন করেছে। এরমধ্যে গত তিন ােসে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এত আন্দোলনের পরও নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করে নির্বাচন করতে পারেনি। সরকার তাদের পরিকল্পনা মতো নির্বাচন করে সরকারও গঠন করেছে। বিএনপির এই ব্যর্থতার দায় কেউ নিতে চাইছেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা ব্যর্থতার দায় নিতে চান না। তারা দায় চাপাচ্ছেন বিএনপির মহানগর কমিটির ওপর। মহানগর কমিটির নেতাদের কারণেই ঢাকায় বিএনপির কোনো সাফল্য নেই বলে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে অভিযোগ করেছেন। তারা মনে করছেন ঢাকার বাইরে তৃণমূল নেতারা যতখানি আন্দোলন সফল করেছেন এই জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারাই নির্দেশনা দিয়েছেন। এই কারণেই সেখানে সাফল্য এসেছে।
এই ব্যাপারে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, তৃণমূল নেতারা সিনিয়র নেতাদের এই ধরনের কথা মেনে নিতে নারাজ। তারা খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন বিএনপি আন্দোলনের যতখানি সাফল্য এসেছে তা তৃণমূলের সাফল্য। এর কৃতিত্ব বিএনপি চেয়ারপারসনের আর তৃণমূল নেতাদের। চেয়ারপারসন কর্মসূচি দিয়েছেন। আন্দোলন সফল করতে বলেছেন, সেই অনুযায়ী আন্দোলন সফল হয়েছে।
এই আন্দোলন ঢাকায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা মনে করেন বিএনপি ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল ও সফল করেছে এটা ঢাকায় অর্ধেক হলেও এখানে সাফল্য আসত। কিন্তু ঢাকার নেতারা পুরোপুরি ব্যর্থ। তৃণমূল নেতাদের আরো অভিযোগ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই থেকে তিন জন নেতারা ছাড়া সবাই সরকারি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রেখে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন। সরকারের স্বার্থ সিদ্ধি করেছেন।
তারা নিজেদের সুবিধা দেখেছেন বলেই আন্দোলনের মাঠে ছিলেন না। গ্রেপ্তার হবেন এই অজুহাতে তারা পলাতক ছিলেন। আন্দোলনেও ছিলেন না। তারা পলাতক ছিলেন এটাই স্পষ্ট যে তারা ব্যর্থ। অকারণে পলাতক নেতাদেরও তালিকা করে তারেক রহমানের কাছে মাঠে হয়েছে।
তারেক রহমান তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকেই আলাদা আলাদা রিপোর্ট নিয়েছেন। এদিকে তৃণমূল নেতাদের আরো অভিযোগ বিএনরি কোনো স্থায়ী কমিটির নেতা মাঠের নেতাদের কোনো পরামর্শ দেননি। নির্দেশনাও দেননি। সবারই মোবাইল এক পর্যায়ে বন্ধ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ঢাকার পাশের একটি জেলার সভাপতি বলেন, আমাদের জেলায় যে আন্দোলন করেছি এই জন্য আমরা নিজেদের বুদ্ধিতেই সফল হয়েছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন পলাতক ছিলেন তখনও স্থায়ী কমিটির নেতারা কোনো দিক নির্দেশনা দেননি। এদিকে মির্জা ফখরুরল ইসলাম আলমগীরও দেননি। মির্জা আলমগীরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি আন্দোলনের তরি এগিয়ে নিয়ে গেলেও শেষ তিন মাসে তিনি তা ডুবিয়ে দিয়েছেন। তীরে এসে তরি ডোবানোর কাজটি মির্জা ফখরুল করেছেন। তার বিরুদ্ধে অনেক তৃণমূল নেতার অভিযোগ বিএনপি যখন তুমুল আন্দেলন করছে তখন ফখরুল ইসলাম সব মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তার পছন্দের কয়েকজন নেতার সঙ্গে নামকা ওয়াস্তে যোগাযোগ করেছেন। গ্রেপ্তার হবেন এই আশঙ্কায় পলাতক থেকেছেন। এদিকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও মির্জা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শমসের মবিন চৌধুরীর কাছে অভিযোগ করে জানতে চেয়েছেন, তিনি কি করছেন।
শমসের মবিন বলেছেন তিনি কাজ করছেন। তারেক রহমান জবাবে বলেছেন তিনি যদি কাজই করবেন তাহলে কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করছেন না। তিনি কারো সঙ্গে যোগাযোগ না করে কি কাজ করছেন। তখন শমসের মবিন চৌধুরী আর এটা নিয়ে কথা বলতে পারেননি। এই অবস্থায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করার অভিযোগ উঠেছিল অক্টোবর ােস থেকেই।
তারেক রহমানের অভিযোগের মধ্য দিয়ে এর সততা প্রকাশ পায়। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এখন আর তারেক রহমান বিশ্বাস করছেন না। তারেক রহমান এর আগে খন্দকার দেলওয়ার মারা যাওয়ার পর মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব বানাতে চাননি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ক্লিন ইমেজের তাকে পছন্দ করেন এবং দলের দায়িত্ব দেন। ওই সময়ে তারেক রহমান চাননি বলেই পরীক্ষামূলকভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি এখনও ভারপ্রাপ্তই রয়েছেন। বিএনপির আগামী কাউন্সিলে তিনি পুরোপুরি ভারমুক্ত হবেন এমনটি গত বছর শোনা গেলেও এখন সেই সম্ভাবনা ক্রমশ কমে এসেছে। তারেক রহমান তাকে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব দিতে আগ্রহী নন। তাকে নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিএনপির সব নেতারাই তাদের ব্যর্থতার ভার সরকারের ওপর চাপাতে চেয়েছেন।
এই জন্য তারা বলেছেন, সরকার পুলিশ দিয়ে এমন ব্যবস্থা করেছে যে আমাদের পক্ষে আন্দোলনে নামার সুযোগ ছিল না। মাঠে নামলেই আমাদেরকে আটক করা হতো। কিন্তু আটক হয়ে লাভ নেই। তারা আরো বলেছেন, আটক না হওয়ায় তারা বাইরে ছিলেন বলে আন্দোলন এতখানি এগিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন তাদের ওই সব কথাবার্তায় ক্ষুব্ধ হয়েছে।
হোনগর কমিটির নেতাদের ব্যর্থতার কথাও তিনি বলতে ছাড়েননি। এমনকি স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও তিনি স্থায়ী কমিটির নেতাদের ব্যর্থতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ওই নেতারা অবশ্য দোষ নিতে নারাজ বলেছেন, আমাদের ব্যর্থতা নয় ঢাকায় আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে মহানগর কমিটির নেতাদের কারণে। কিন্তু মহানগর কমিটি তা মেনে নিতো না। তারাও বিএনপি চেয়ারপারসনকে জানিয়েছেন তারা লাখ লাখ কর্মী নিয়ে উপস্থিত ছিলেন মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি পালন করার জন্য কিন্তু কেন্দ্রের একজন নেতা, দলের কোনো ভাইস চেয়ারম্যান, দলের কোনো সিনিয়র নেতা, দলের কোনো স্থায়ী মিটির সদস্য ওই সব নেতাকে কোনো নির্দেশনা দেননি।
এমনকি তারা নিজেরাও মাঠে নামেননি। তারা মহানগর কমিটির ওপর দোষ দিয়ে লাভ করতে পারবেন না। কারণ তারা যদি সফলই হতেন তাহলে তারা অন্তত ২৯ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসে যেতেন। সেটা একটি নেতাও করেননি। মহানগর কমিটির ওপর দোষ চাপিয়ে তারা রেহাই পেয়ে যাবেন এটা মনে করার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপিকে এখন এক স্তরের নেতারা আরেক স্তরের নেতাদের ওপর দোষারোপ করার কারণে বিএনপির অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। ওই সব নেতাদের অনেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন ও তারেক রহমানেরও ভুল ধরছেন। তারা কেন নির্দেশনা দিতে পারেননি ব্যর্থ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। বিকল্প নেতাদের দায়িত্ব দেননি এটা নিয়েও ভেতরে ভেতরে সমালোচনা করছেন। সব মিলিয়ে এনিয়ে বিএনপির ভেতরে গৃহদাহ আরো বাড়ছে।
এই অবস্থায় বিএনপিতে এই দাহ নেভানোর জন্য তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই কাউন্সিল করে দলে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন নেতাদের সামনে নিয়ে আসতে চাইছে। এই জন্য তারেক রহমানের টেবিলে অনেক নেতার ভাগ্যই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদিকে সরকারের জিরো টলারেন্সের কারণে এখন বেকায়দায় বিএনপি। কোনো পরিকল্পনাই সফল করতে পারছে না। একের পর এক পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় আপাতত নতুন কোনো পরিকল্পনা করতে পারছে না।
কোনো কর্মসূচি দিলেই সরকার তা ব্যর্থ করে দিবে। নির্বাচন থেকে দূরে থেকে বিএনপি মনে করেছিল তারা আবার নির্বাচন দাবি করে আগাম নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে সফল হবে। এরই অংশ হিসাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক করেন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, জনসভা, পতাকা মিছিল, জেলায় জেলায় সফর করে সমাবেশ করে জনসচেতনতা গড়ে তুলবেন। এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো শুরু করেছিল। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি সমাবেশ সোহরওয়ার্দী উদ্যোনে করতেও সক্ষম হয়েছেন।
সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য উস্কানিমূলক এটা মনে করে আর কোনো কর্মসূচি না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই অনুযায়ী এখন বিএনপি ঢাকায় কোনো সমাবেশ করতে পারছে না। সরকার কোনো কর্মসূচির জন্য অনুমতি দিবে না। সেই সঙ্গে কোনো নেতা যাতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে তা পালনের জন্য কাজ করতে না পারেন সেই জন্য সব ব্যবস্থা করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিএনপিকে ঠোকানোর জন্য সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
তারাও সরকারের আদেশ পালন করছে। এই জন্য কোনো কর্মসূচির অনুমতি দিচ্ছে না ডিএমপি কমিশনার। এই অবস্থায় বিএনপির নির্বাচন পরবর্তী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও কর্মসূচি করে ব্যাপক জন সচেতনতা ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনাও তা আপাতত ব্যর্থ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় বিএনপি এখন নতুন করে পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান।
একজন লন্ডনে বসেই পরিকল্পনা করছেন আর একজন ঢাকায়। আগামী দিনের আন্দোলন ও কর্মসূচি কেমন করে পালন করা হবে এই জন্য তারা কৌশল ঠিক করতে ঘন ঘন যোগাযোগ করছেন। একটার বিকল্প আরো একটা কর্মসূচি ঠিক করছেন। কিন্তু কোনোটাই যুতসই হচ্ছে না। এই অবস্থা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তাদের আন্দোলন কর্মসূচি কী হবে তা নিয়ে।
এই অবস্থায় মনে করছেন তাড়াহুড়া করে কোনো আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে একের পর এক ব্যর্থতার ইতিহাস লেখা হচ্ছে। এটা পার্টির জন্য ঠিক হচ্ছে না। এতে করে বিএনপির দূর্বলতাই প্রকাশ পাচ্ছে। এই মুহূর্তে বিএনপি আন্দোলন ও কর্মসূচিতে সফল হতে পারছে না এমন ইমেজ লাগানো যাবে না। এই অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে চিন্তিত।
তারেক রহমানও বিভিন্ন পরিকল্পনা করছেন। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, আগামী দিনের জন্য বিএনপি অনেক পরিকল্পনাই আলোচনা করছে। কোনোটি এখনও সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা নয়। সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা করতে না পারলে ব্যর্থতাই লেখা হবে। এই জন্য বিএনপি ব্যর্থতার কোনো ইতিহাস লেখাতে চাইছে না।
তিনি বলেন, এখন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান যুতসই আন্দোলন পরিকল্পনা করছেন। সেটা করতে গিয়ে তিনি মনে করছেন যে, যেটাই করা হোক না সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা করতে হবে। এই সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা করার জন্য তিনি এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
এদিকে কী ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি বিএনপি ঠিক করছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একজন উপদেষ্টা বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি নতুন কর্মসূচির জন্য। তবে সহসাই তা হচ্ছে না।
কারণ সরকার কোনো আন্দোলন করতে দিচ্ছে না। সরকার চেষ্টা করছে যে কোনোভাবেই হোক বিএনপিকে ঠেকাতে হবে। সরকার আমাদেরকে ঠেকাবে। এই জন্য প্রয়োজনীয় হলে দশ লাখ মারার দরকার হলেও সরকার তা মেরে ফেলবে। তবু বিএনপিকে আন্দোলন করতে দিবে না।
এটা করতে না দেওয়ার জন্য সরকার সব চেষ্টা করছে। সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিলেও আমরা বসেও থাকবো না। আমরা সেইভাবেই এগোচ্ছি। সরকার যেটা করবে সেটা ঠেকাতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে কাজ করতে হবে। এই জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।
বিশেষ করে ঢাকায় বিএনপিতে সংস্কার করতে হবে। আগামী দিনে বিএনপিকে আন্দোলনের সফল হতে হলে ঢাকায় আন্দোলন করতে হবে। এখন ঢাকায় যে নেতৃত্ব রয়েছে এই নেতৃত্ব দিয়ে ঢাকায় আন্দোলন হবে না। তারা আগামী দিনে ঢাকায় কোনো আন্দোলন সফল করতে পারবে না। এই জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন এখন কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
সেই সঙ্গে তারা এটাও করতে চাইছেন না যে তারা কর্মসূচি ডাকবেন আর ডিমপি তা ব্যর্থ করে দিবে। সূত্র জানায়, তারেক রহমান ঢাকা শুদ্ধি করবেন। এই জন্য আগামী দিনে কাদেরকে ঢাকার দায়িত্ব দিবেন সেই জন্য নেতৃত্ব সম্পন্ন নেতা খুঁজছেন। ঢাকায় নেতাদের মধ্যে এনিয়ে এখন আতঙ্কও বিরাজ করছে। কারণ বেশ কয়েকেজন নেতা দায়িত্বশীল পদ থেকে ছিটকে পড়বেন।
তারা গত চার বছরে ঢাকায় বিএনপির আন্দোলনের ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই সব নেতাদের ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, স্বার্থ, হানাহানি, এক নেতা আরেক নেতাকে দেখতে না পারা, ওই নেতার ডাকে সাড়া না দেওয়া সব মিলিয়ে বিএনপির ঢাকায় আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন আগামী দিনে সফল করতে হলে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে তা সফল করতে হবে। সেই হিসাবে আগামী দিনের জন্য নেতা খুঁজে বের করে এরপর দায়িত্ব দিবেন। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ঢাকাকে চারভাগে ভাগ করে চারটি কমিটি করে চারজন নেতাকে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম এই চারভাবে ভাগ করে সভাপতি করবেন।
মহাসচিবও করবেন। তবে চার ঢাকার মধ্যে সমন্বয় করার জন্য কোনো নেতাকে আহ্বায়ক করবেন না। আহ্বায়ক করা হলে ঢাকায় নতুন করে সমস্যা হবে। আন্দোলনও ব্যর্থ হবে। এদিকে ঢাকা চার ভাগে ভাগ হওয়ার পরিকল্পনা জানাজানি হওয়ায় ইতোমধ্যে ঢাকার নেতারা চিন্তিত।
সূত্র জানায়, দলেল শুদ্ধি অভিযান, কাউন্সিল, উপজেলা নির্বাচন এই তিনটা সম্পন্ন করেই বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনে নতুন করে নামার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিএপির সিনিয়র ভাইস চেয়্যারম্যান তারেক রহমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।