রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষুধা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, নিরাপদ মাতৃত্ব, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সামাজিক নিরাপত্তায় অগ্রগতি করেছে। ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম (ওয়াইফ)-এর নবম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। লন্ডনে এঙ্লে সেন্টারে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের ১৬ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে। রাষ্ট্রপতি ডিজিটাল উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে ইন্টারনেট পেঁৗছে গেছে। এখন বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ। মুসলিম বিশ্বের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে উন্নত বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার সময় মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ধৈর্য সহকারে তাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। এ ছাড়া তিনি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যেভাবে নারীর ক্ষমতায়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে তাও প্রশংসার দাবিদার বলে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৬টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের মধ্যে সম্মেলনে যারা বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্য থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছাড়াও রয়েছেন প্রিন্স চার্লস, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী নাজিব-তুন আবদুর রাজ্জাক, ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বালকি, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলী লায়ারেদ, মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আবেদলিল্লাহ বেনকিরানে, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ, কসভোর প্রেসিডেন্ট আতেপেতি জাহজাগামেম্বার অব প্রেসিডেন্সি বাকির ইজেতবেগোভিক, কাজাখস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এসেট ইসেকেসেভ, ইরাকের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ড. রোচ নুরি শাহওয়েজ, তুরস্কের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আলী বাবাকান এবং বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স সালমান বিন হামাদ বিন ইশা আল খলিফা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিও সম্মেলনে যোগ দেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।