সিরিয়ার হোমস নগরের অবরুদ্ধ এলাকা থেকে কয়েকশ বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নিতে যুদ্ধবিরতির যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটা আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল এ আলোচনার কথা ছিল। তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই এলাকায় মানবিক সাহায্যের জন্যও এই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ এই 'মানবিক বিরতির' অনুমতি দিয়েছে এবং বিরোধীরাও এই চুক্তি সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতিসংঘও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। হোমস নগরীর কিছু অংশ ২০১২ সালের জুন থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। বাকি অংশে যুদ্ধ চলছে এবং তা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, এটা নিরাপদ, নিয়মিত ও বাধামুক্তভাবে মানবিক সাহায্য পেঁৗছানোর বিকল্প নয়। দীর্ঘদিন ধরে অনাহারে থাকা মানুষের মধ্যে মাত্র কয়েক দিনের খাবারের জোগান দেওয়ার জন্য কোনো সরকারকে কৃতিত্ব দেওয়া আমাদের উচিত হবে না। বরং জনগণকে এটা দেওয়া সরকারের সঠিক নৈতিক দায়িত্ব যেটা তাদের সব সময় পালন করা উচিত। এক সপ্তাহ আগে জেনেভায় শান্তি আলোচনার সময় হোমসের বিভিন্ন জেলার বেসামরিক মানুষের দুরবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। যুদ্ধের কারণে সেখানে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা জানান, সেখানকার মানুষ কয়েক সপ্তাহ ধরে সামান্য কিছু জলপাই খেয়ে বেঁচে আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, হোমসের বাইরেই ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। নিরাপদে নগরের ভেতরে প্রবেশের জন্য উভয় পক্ষের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ সামগ্রী সেখানে পেঁৗছে যাবে। সাহায্য পাঠানোর জন্য কর্মীদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 'নিরীহ বেসামরিক জনগণ'কে ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে হোমসের গভর্নর ও সিরিয়ায় জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানায় সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল আল-মেকদাদ বলেন, শেষ পর্যন্ত ওই সব মানুষের বাইরে বের করে আনার একটা সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছি বলে আমরা দারুণ খুশি। সেই সঙ্গে হোমস নগরের ভেতরে বসবাসকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সাহায্য পাঠাতে পারছি, যেটার যোগ্য দাবিদার তারা। তবে একটাই মাত্র শর্ত যে, এই সাহায্য যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অস্ত্রধারী বাহিনীর হাতে না পড়ে। যদিও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে সিরিয়ায় বিবিসির প্রতিনিধি জানান, এই চুক্তিতে অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সংকেত পেয়েছে সিরিয়ার রেড ক্রিসেন্ট। বিবিসি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।