আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মস্তিষ্কের ভাষা বুঝবে স্মার্টফোন

এক মানুষ আরেক মানুষের মনের ভেতরকার ভালো লাগা, মন্দ লাগার অনুভূতিগুলো বুঝুক আর নাই বুঝুক, প্রযুক্তির উৎকর্ষের ধারাবাহিকতায় স্মার্টফোন সে ভাষা বুঝতে শুরু করেছে। সেন্সরের মাধ্যমে মস্তিষ্কের তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে ব্যবহারকারীর মনের ভাষা বুঝবে যন্ত্রটি। ব্যবহারকারীর ভালো লাগা মন্দলাগা বোঝার জন্যে স্মার্টফোনকে যেই যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, তার নাম নিউরোক্যাম। হাতে নয়, বরং স্মার্টফোনটি একটি বিশেষ হেডব্যান্ডের সাহায্যে মাথার সঙ্গে সংযুক্ত করবে নিউরোক্যাম যন্ত্রটি। সেখান থেকে সেন্সরের সাহায্য ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কের তরঙ্গ বোঝার চেষ্টা করবে এই যন্ত্র।

নিউরোক্যামের সেন্সরে যদি মনে হয়, চারপাশে থাকা কোনো বস্তু, ব্যক্তি বা ঘটনা ব্যবহারকারীর ভালো লাগছে, তবে নিজে থেকেই তার ভিডিও রেকর্ড করতে শুরু করবে। রেকর্ড শেষে ভিডিওটিকে জিআইএফ ইমেজে পরিণত করে যন্ত্রটি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে এই যন্ত্র বুঝতে পারে যে ব্যবহারকারীর মধ্যে ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করছে? আমাদের মস্তিষ্কে কোনো ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের তরঙ্গে পরিবর্তন আসে। আর সেটাই ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত মান থাকা একটা মাপকাঠিতে মাপে নিউরোক্যাম। যদি তরঙ্গের মাত্রা সেই মাপকাঠির ৬০ তম ঘর অতিক্রম করে, তাহলেই ভিডিও ধারণ শুরু করে যন্ত্রটি।

সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রিজমের সাহায্যে ব্যবহারকারী কোনদিকে তাকিয়ে আছেন, সেটা ঠিক করে নেয়।

গত সপ্তাহে জাপানে অনুষ্ঠিত ‘হিউম্যান সেন্সিং’ সেমিনারে এই যন্ত্র প্রদর্শন করা হয়। নিজ থেকেই মস্তিষ্কের ভাষা বুঝতে পারে এমন পরিধানযোগ্য যন্ত্র ‘নিউরোওয়্যার’ ক্রমোন্নতির একটি ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই ধরা যায় নিউরোক্যামকে। তবে সঙ্গে একটি মুঠোফোন যুক্ত থাকায় এটি অন্য নিউরোওয়্যারগুলোর চেয়ে কিছুটা ভারি।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।