আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমার নির্দেশ তফসি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। মন্ত্রিসভার সদস্যরা সে জন্য এখনই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে রাখবেন। তফসিল ঘোষণার পর তা কার্যকর হবে। সর্বদলীয় এই সরকারে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাদের জন্য অপেক্ষাও করা হবে। তবে বিএনপি শেষ পর্যন্ত যোগ না দিলে জামায়াতে ইসলামী বাদে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য সব দল নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠিত হবে। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১০ জানুয়ারির মধ্যে।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে তিনি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের এ বিষয়ে নির্দেশ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর পরই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে এ সরকার গঠিত হবে। তবে জামায়াতে ইসলামী এতে থাকছে না। মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র সদস্য বলেন, সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যরা এখনই তাদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর হবে। কবে নাগাদ সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার কিছু বলেননি। তবে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এ প্রক্রিয়া চূড়ান্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। সর্বদলীয় সরকারে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের জন্য অপেক্ষা করা হবে। বিএনপি না এলেও এ সরকার গঠন করা হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেননি। তবে এ কথা বলেছেন যে বিএনপি এলে আকার একরকম হবে, আর না এলে আরেক রকম। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, সংলাপের দরজা খোলা। বিরোধী দল এলে যে কোনো সময় সংলাপ হতে পারে। একজন প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বিরোধী দলের আন্দোলনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনে নানা প্রতিবন্ধকতা আসবে, সেগুলো মোকাবিলা করতে হবে। ১০ নভেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হবে।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে চারটি আলোচ্য বিষয় ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল অবহিতকরণ। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, বাকি তিনটির মধ্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৩-এর খসড়া নীতিগত ও ভেটিংসাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনের আওতায় সাংবাদিকদের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যার চেযারম্যান থাকবেন তথ্যমন্ত্রী। ভাইস চেয়ারম্যান হবেন তথ্য সচিব। ট্রাস্টি বোর্ড হবে ১৩ সদস্যের। যেখানে সরকার মনোনীত তিনজন সাংবাদিক থাকবেন। বিএফইউজে সভাপতিও বোর্ডে সদস্য থাকবেন। মন্ত্রিসভা এ ছাড়া ফরমালিনের অপব্যবহার বন্ধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। ফরমালিন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩-এর খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ফরমালিনের অপব্যবহার এখন শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি রুখতেই আইন করা হচ্ছে। খসড়ায় বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সুপারিশ রয়েছে। ফরমালিন বিক্রির লাইসেন্সের শর্ত ভাঙলে ৩ থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন রাখলেও একই মেয়াদের সাজা ও অর্থদণ্ড। কেউ বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে ফরমালিন রাখার অনুমতি দিলে ২ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড। তবে মন্ত্রিসভা বলেছে, এরই মধ্যে পাস হওয়া নিরাপদ খাদ্য আইনের সঙ্গে যেন এটি সাংঘর্ষিক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.