চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটিকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতারা। ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতরা যেমনি দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করছেন তেমনি সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিচ্ছে। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২৪ জুলাই একই ঘটনা ঘটেছে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পরই। তবে আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলার জন্য একটি মহল কৌশলে কাজ করছে বলে অনেকেই বলছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি নিয়ে আগের কমিটির সভাপতি এম আর আজিম ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিনসহ সাবেক ছাত্রনেতারা পক্ষে-বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। যে কারণে কমিটিতে স্থান পাওয়া ও বঞ্চিতদের মধ্যে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তারা বলেন, 'সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিনসহ তিনজন ছাত্রলীগ নেতা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ কমিটি এনেছেন। তাই কমিটি বাতিলের পক্ষে আন্দোলন চলছে।' সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাবেদুল আলম মাসুদ বলেন, বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে এসে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করলে পদবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ কমে আসবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত ত্যাগীরা স্থান পাবেন। তিনি বলেন, 'টাকার বিনিময়ে নয়, গঠনতন্ত্র মোতাবেক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।'
উল্লেখ্য, প্রায় ১০ বছর পর ৩০ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।