করদাতাদের নথি গায়েবের হিড়িক পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)। করদাতা, আয়কর আইনজীবী ও কর কর্মকর্তাদের একাধিক চক্রের মাধ্যমে একের পর এক নথি গায়েব হয়ে যাচ্ছে। নথি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজস্ব কর্মকর্তারা বলছেন, পাওয়া যাচ্ছে না। নথি গায়েবের এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে বলে এনবিআরে অভিযোগ করেছেন করদাতারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ) বশির উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাধারণ করদাতাদের নথি হারানো বা গায়েবের সুযোগ নেই। কিন্তু অনেক সময় করদাতা বা তাদের আইনজীবীরা করফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর বিভাগের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তা নিয়ে নথি গায়েব করেন।
এনবিআর সূত্র জানায়, বিগত এক বছরে কয়েক শত করদাতার নথি গায়েব হয়েছে। গত কয়েক মাসে নথি গায়েবের বেশ কিছু অভিযোগও পাওয়া গেছে। অতিসম্প্রতি এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের কাছে করদাতাদের নথি গায়েব সম্পর্কিত লিখিত অভিযোগ করেন আয়কর আইনজীবী মোখলেছুর রহমান। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেছেন, কর অঞ্চল-৬ এর ৬৫ নম্বর সার্কেলের উপ-কর কমিশনার মরহুম আবু সাঈদ মোহাম্মদের নামে বিগত ১৯৮৯-৯০ থেকে ২০০০-২০০১ করবর্ষের আয়কর ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৮০ টাকা কর বকেয়া দাবি করে তা পরিশোধের জন্য তাগিদপত্র পাঠানো হয়েছে। পরে উলি্লখিত করবর্ষসমূহের আয়কর আদেশের সত্যায়িত অবিকল নকল চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর অফিস তা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। কর অফিস বলছে, নথিটি পাওয়া যাচ্ছে না। নথিটি না পাওয়া গেলে সরকারের পাওনা করও পাওয়া যাবে না। এটাও কর বিভাগ মেনে নেবে? অভিযোগে তিনি আরও বলেন, আমি কি ধরে নিতে পারি না যে, কর বিভাগের অন্যান্য ও সব ক্ষেত্রেই নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জড়িতদের শনাক্ত করে যথাযোগ্য শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন করদাতা নিযুক্ত আইনজীবী মোখলেছুর রহমান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোখলেছুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নথি গায়েবের বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আমি এনবিআর চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট সদস্য, কর কমিশনারকে অবহিত করেছি। আমি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।