নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও বঙ্গভবনের দরবার হলে গতকাল মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঢাকায় দায়িত্বরত শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব বিদেশি কূটনীতিক। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে নির্ধারিত সময়েই উপস্থিত হন বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানরা। দুপুর ২টার কিছু পরই একে একে উপস্থিত হন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবি্লউ মোজেনা, ব্রিটিশ হাইকমিশনাররবার্ট উইলিয়াম গিবসন, ভারতের পঙ্কজ শরণ, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ উইলকক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান উইলিয়াম হানা, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নীল ওয়াকারসহ বিদেশি কূটনীতিকরা। তারা উপস্থিত হয়েই নির্ধারিত আসন গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩টা ২৮ মিনিটে দরবার হলে উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। গত ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া এবং বড় রাজনৈতিক পক্ষগুলোর অংশগ্রহণ না থাকায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে বিরত ছিল বিদেশিরা। নির্বাচনের পর স্বল্প ভোটার উপস্থিতির কারণে হতাশা প্রকাশ করে অধিকাংশ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দ্রুত সংলাপ শুরু করে পুনরায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতি কূটনীতিকদের একটি অংশ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে নাও পারেন বলে জল্পনা-কল্পনা করা হচ্ছিল। তবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের সেই শঙ্কা দূর করে তারা এই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। জানা গেছে, গত শুক্রবার বঙ্গভবনের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগ কূটনীতিকদের আমন্ত্রণপত্র পেঁৗছে দেয়। অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে গতকাল সকালে নিজেদের মধ্যে এক দফা বৈঠকও করেন কূটনীতিকরা। পরে দুপুরে প্রায় একই সময়ে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকা থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।