আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়েবসাইটে মতামত দেয়নি কোনো রাজনৈতিক দল

রাজনৈতিক দলের মতামত ছাড়াই চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে দশম সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি। আচরণবিধির খসড়া নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেও কোনো দলের মতামত পায়নি ইসি। তবে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। এমনকি অশ্লীল ভাষায় কমিশনকে গালিগালাজ করেছেন। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। দলের মতামত ছাড়া আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, দলগুলো মতামত না দিলে ইসির কিছুই করার নেই। কাউকে ডেকে মতামত নেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাদের মতামত ছাড়াই আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, ইসির ওয়েবসাইটে আচরণবিধি মতামতের জন্য সাত দিন রাখা হয়েছিল। কোনো দল মতামত দেয়নি। অনেকেই নামে-বেনামে মতামত দিয়েছেন। আইটি শাখা জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে মতামত এসেছে ৩১টি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব ও গণসংযোগ শাখায় কয়েকটি মেইল এসেছে। সব মিলে প্রায় ৪০টি মতামত পেয়েছে ইসি। ওয়েবসাইটে আসা মতামত বিষয়ে ইসি সূত্র জানিয়েছে, জোবায়ের হাসান নামে একজন মত দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। একই ভাবে আরও চারজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন চেয়েছেন। ইসির বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করে 'কে জামান' নামের এক মেইল থেকে ইসিকে 'রাবিশ' বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, আপনারা (ইসি) তো বুড়া হয়েছেন। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। সরকারের গৃহপালিত হয়ে থাকবেন না। শামীম রেজা নামের একজন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চেয়েছেন। মানিকগঞ্জের সহকারী কমিশনার অমিত দেবনাথ বলেছেন, বিগত পাঁচ সিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা সামাজিক ও এসএমএসে ব্যাপকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন তাই এ বিষয়ে ইসির সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা দরকার। জিয়াউল আলম নামের একজন সরকারি সুবিধাভোগীদের একই সঙ্গে সরকারি কাজ ও নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন। ইকবাল হোসেন টিপু নামের একজন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে বিএ পাস করার কথা বলেছেন। মুহাম্মদ তাজুল নামের একজন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে ৬৪ জেলার ডিসি, এসপি ও কিছু ইউএনওকে বদলি করতে হবে।

রফিকুল ইসলাম নামের একজন বলেছেন, এই আচরণবিধি স্বচ্ছ নয়। জিয়া নামের একজন বলেছেন, এটি সুন্দর সিদ্ধান্ত। শরিফ উল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। আর তারই প্রতিফলন হয়েছে আচরণবিধিতে। গোলাম মোস্তাফা বলেছেন, এটি সঠিক নয়, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই আচরণবিধি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মনির নামের একজন বলেছেন, এটি ভালো চিন্তা। সঠিক সময়ে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.