আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃহত্তম জাতীয় পতাকা

একাত্তরের ডিসেম্বরে লাল সবুজের অবিসংবাদিত বিজয় দেখেছিল বিশ্ব। এবার বিজয়ের ৪২তম বার্ষিকীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকার অধিকারী হবে বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবান্বিত বিজয়ের ৪২তম বার্ষিকী এবার ভিন্নভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় তারা ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণে শুরু হবে এই পতাকা তৈরির কাজ। তাদের সবার হাতে থাকবে একটি রঙিন প্লাকার্ড। ৩০ হাজার লোক একত্রে বিশ্বের বৃহত্তম এ পতাকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করবেন। এ মহতী পদক্ষেপ দেখার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড কমিটির অনুমোদিত পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় পতাকা তৈরি কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পর প্রমাণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য ও ছবি গিনেস ওয়ার্ল্ড কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তথ্য প্রমাণ অনুসারে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় পতাকা হিসেবে বিবেচিত হলে তা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত হবে। সোমবার রবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বের বৃহত্তম পতাকা তৈরির উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। মহান বিজয় দিবস পালনের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিঃসন্দেহ প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল এ দেশের জনগণের জাতীয় মুক্তির যুদ্ধ। পরাক্রমশালী পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজয় নিশ্চিত করেছিল এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে। ৩০ হাজার লোকের অংশগ্রহণে জাতীয় পতাকা তৈরির মধ্য দিয়ে সে ঐক্যকেই নতুনভাবে ধারণ করার প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরা হবে। একাত্তরের মহান বিজয়কে ধরে রাখতে হলে এ ঐক্যের যেমন বিকল্প নেই, তেমনি ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্ন পূরণেও চাই ঐক্য। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। বিভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করে জাতি কতটা এগিয়ে যেতে পারবে, তার ওপরই আমাদের আগামী দিনের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.