মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক দিগদর্শন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে পারে বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।
গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘সংকট সমাধানে মওলানা ভাসানী’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ মত দেন।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটের পিএস ৭৯ মিলনায়তনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আমাদের ইতিহাসের অংশ।
তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের ইতিহাস রচিত হবে না, হতে পারে না। ভারত উপমহাদেশে ভাসানীর সঙ্গে শুধু মহাত্মা গান্ধীরই তুলনা করা যেতে পারে। ’
এই কলাম লেখক বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের গণমানুষের অগ্রযাত্রার জন্যই তাঁর জীবন নিয়ে চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক দেওয়ান শামসুল আরেফীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ আলোচক ছিলেন মওলানা ভাসানীর ওপর প্রথম পিএইচডিধারী কানাডার ডাউসন কলেজের অধ্যাপক আবিদ বাহার, ড. আনিসুজ্জামান, প্রবীণ সাংবাদিক ফজল এম কামাল।
আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই, প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমেদ ও মঈনুদ্দীন নাসের, এস আই শেলী, শওকত আলী প্রমুখ। সেমিনার পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আফ্রো-এশিয়া, লাতিন আমেরিকার অবিসংবাদিত ও আপসহীন মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানবতাবাদী ধর্মীয় নেতা।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভারত-পাকিস্তানবিরোধী আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর আপসহীন রাজনীতি ও ভূমিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তাঁর রাজনৈতিক দিগদর্শনই পারে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।