বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটি প্রকাশিত হয়েছে।
এতে নিউক্লিয়ার প্রকল্প নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের দেশগুলোর চলমান বিরোধের কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভবনা উজ্জ্বল হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’র (আইএইএ) ত্রৈমাসিক ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অগাস্ট থেকে একটি প্লুটোনিয়াম উৎপাদনকারী চুল্লিতে কোনো উল্লেখযোগ্য উপাদানও যোগ করা হয়নি।
এই প্লুটোনিয়াম চুল্লিটি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে ছিল।
এই প্রতিবেদনের ফলে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের কয়েক বছর ধরে চলা সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি বদলে নতুন প্রেসিডেন্ট রুহানির উষ্ণ আচরণের প্রতি পশ্চিমাদের আস্থা বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিউক্লিয়ার প্রকল্প নিয়ে ২০ নভেম্বর ইরানের সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ছয় জাতির পরবর্তী বৈঠকের কথা রয়েছে। এই ছয় জাতিগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া,. চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
এই প্রতিবেদনের ফলে আসন্ন ওই বৈঠকে ইরানি পক্ষ শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষরা।
নিউক্লিয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে ইরান নিউক্লিয়ার বোমা তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু ইরান বরাবর এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেদের নিউক্লিয়ার প্রকল্পকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎকাজে ব্যবহারের মতো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে নিয়োজিত বলে দাবী করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।