নিউক্লিয়ার ফিজিক্স হল পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটা অধ্যায় যেখানে এটোমিক নিউক্লিয়াস এর আচরনবিধী আলোচনা করা হয়। এই শাখার প্রধান ব্যবহার হয় মূলত নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদন ও নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরিতে। এছাড়াও Nuclear medicine,Magnatic resonance imaging,ion implantator in material engineering এবং radio carbon dating এ এর বহুল ব্যবহার পরিলিক্ষত হচ্ছে।
নিউক্লিয়ার শক্তি হচ্ছে নিউক্লিয়ার ফিসন বিক্রিয়া থেকে প্রাপ্ত তাপ ও ইলেকট্রিসিটি যা পৃথিবীর প্রায় 6% energy সরবরাহ করে এবং সমগ্র পৃথিবীর 13-14% ইলেকট্রিসিটি সরবরাহ করে। বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এ পাওয়ার ... ২রা নভেম্বর ২০১১ তে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশে ১০০০ মেগা ওয়াট এর ২ টি প্লান্ট স্থাপনে তারা সহায়তা দিবে। ২০১২ সালে নির্মান কাজ শুরু .... সেই পাকিস্তান আমলের রুপপুর এ এই পরিকল্পনা হতে চলেছে। যদি ইউ এস এ, জাপান, এবং ফ্রান্স সহ হিসেব করা যায় তবে প্রায়50% electricity নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট থেকে উৎপন্ন হয়। IAEA এর রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর প্রায় ৩১ টি দেশে ৪৩৯ টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিএক্টর*আছে। এ পযর্ন্ত অনেক দূঘর্টনা এই নিউক্লয়ার রিএক্টরে নিউক্লয়ার পাওয়ার প্লান্ট এ কাজ করতে গিয়ে ঘটেছে।
যার মধ্যে ভয়াবহ কয়েকটি হল চেরনোবিল এর দূঘর্টনা [১৯৮৬],ফুকুসিমা ডাইচি দূঘর্টনা (জাপান)[২০১১], Three Mile Island accident [১৯৭৯] ।
নিউক্লিয়ার অস্ত্র কথাটা শুনতেই মনে আতঙ্কের জন্ম নেয় তাই না । আতঙ্কিত হওয়ারি কথা কারন এ অস্ত্র এমনি এক অস্ত্র যা মুহূর্তে পৃথিবীকে পরিণত করতে পারে ধ্বংস স্তুপে।
নিউক্লিয়ার অস্ত্র হচ্ছে এক ধরনের বিষ্ফোরক যা শক্তি সষ্ণয় করে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া থেকে । এটা নিউক্লিয়ার ফিশন* বা ফিউশন* বিক্রিয়া হতে পারে ।
প্রথম থামোনিউক্লিয়ার [হাইড্রোজেন] বোম্ব এর পরীক্ষামূলক বিষ্ফোরনে প্রায় ১০,০০০,০০০ টন TNT *শক্তি পাওয়া যায় । এ পযর্ন্ত মাত্র দুটি অস্ত্র শুধু মাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহার হয় যার দুটোই বিস্ফোরিত করে ইউনাইটেড স্টেট ।
একটি ইউরেনিয়াম গানটাইপ ফিশন বোম্ব যার কোড নাম “লিটল বয়” ফেলা হয়েছিল ১৯৪৫ সালের ৬ আগষ্ট জাপানের হিরোসিমা নগরিতে । আর একটি ফেলেছিল ৩ দিন পর ৯ আগষ্ট ১৯৪৫ সালে জাপানের নাগাসাকিতে । এই বোম্ব এর টাইপ ছিল প্লুটোনিয়াম ইমপ্লোশন টাইপ ফিশন বোম্ব ।
যার কোড নাম ছিল “ফ্যাটম্যান”। এই দুই বিষ্ফোরণে প্রায় ২ লাখ মানুয মারা যায় এবং অসংখ্য ক্ষয়ক্ষিত হয় । আর বতর্মানে বিশ্বের প্রায় সব শক্তিশালী রাষ্ট্রেরই প্রধান হাতিয়ার হল এই ভয়ঙ্কর অস্ত্র । ইউ এস এ,রাশিয়া,ইউ কে,ফ্রান্স,চীন,ভারত, পাকিস্তান,উত্তর কোরিয়া,ইসরাইল সহ অনেক দেশেরই রয়েছে এই অস্ত্র । একমাত্র্র দক্ষিন আফ্রিকা নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করে ধ্বংস করে দেয় এবং এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় ।
বতর্মান বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এর জ্ঞান মানুষকে দিতে পারে সুখশান্তি আবার মুহূর্তে এনে দিতে পারে মৃত্যু । ।
*১টনTNT=৪.১৮৪ গিগাজুল
Md.Mohaimenul islam Turak
ID:1112023
Department of physics
Begum Rokeya University,Rangpur.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।