কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। দুই যুগ ধরে তিনি ক্রিকেট মাঠে রাজত্ব করেছেন দাপটের সঙ্গে। গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। ভারতে তাকে ভাবা হয় ক্রিকেটের ঈশ্বর হিসেবে। ক্রিকেটের সেই ঈশ্বরও গত শনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন মাঠ থেকে তার বিদায়লগ্নে। শচীন টেন্ডুলকার ও ক্রিকেট- এ দুটি সোয়া শতাব্দী ধরে একটি অপরটির পরিপূরক হয়ে বিরাজ করছে। ক্রিকেট থেকে তার অবসরে দৃশ্যত সেই দ্যোতনার অবসান হলো। তবে মাঠ থেকে বিদায় নিলেও যতদিন ক্রিকেট থাকবে ততদিন এই 'বিস্ময় বালকের' নাম উচ্চারিত হবে শ্রদ্ধার সঙ্গে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে শচীন যখন তার বিদায়ী ভাষণ রাখছিলেন তখন তার পরিবারের সদস্য ও সতীর্থরা বার বার চোখ মুছছিলেন। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে যিনি ক্রিকেটের মাঠে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছেন, দুনিয়ার সবচেয়ে অভিজাত ক্রিকেটার হিসেবে দেশে-বিদেশে নন্দিত হয়েছেন, ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যার না পাওয়া বলে কিছু নেই তার তো আবেগাপ্লুত হওয়ারই কথা। ক্রিকেট শচীনকে আকাশছোঁয়া সম্মানে অভিষিক্ত করেছে। দরিদ্র ঘরের সন্তান থেকে ধনাঢ্য খেলোয়াড়ের পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। ক্রিকেট ক্ষেত্রে তার কৃতিত্বের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন উপাধিতে তাকে ভূষিত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার তার হাতে তুলে দেবেন। শচীন টেন্ডুলকারই হবেন ভারতরত্ন পুরস্কার পাওয়া প্রথম ক্রীড়াবিদ। ক্রিকেটের বরপুত্র শচীন ছিলেন দুনিয়ার কোটি কোটি ক্রিকেটমোদীর কাছে স্বপ্ন পুরুষ। বাংলাদেশেও খেলেছেন তিনি। তার শততম সেঞ্চুরির সঙ্গে জুড়ে আছে বাংলাদেশের নাম। লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের ক্রিকেট থেকে অবসর ক্রিকেট জগৎকে অনেকটাই নিষ্প্রভ করবে সন্দেহ নেই। জীবনের শেষ টেস্টেও তিনি যেভাবে দাপট দেখিয়েছেন তা একমাত্র শচীনের জন্যই মানানসই। মাঠে না থাকলেও তিনি আদর্শ হয়ে থাকবেন প্রতিটি ক্রিকেটারের হৃদয়ে। প্রতিটি নবীন ক্রিকেটারের কাছে তিনি স্বপ্ন পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবেন। শচীন হয়ে ওঠার জন্য তাদের নিরন্তর প্রয়াসই ক্রিকেট অঙ্গনের এই মহাপুরুষকে জিইয়ে রাখবে যুগ যুগ ধরে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।