আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনীতি মারপ্যাঁচে জামায়াতই সুবিধাজনক অবস্থানে। তারপরেও লড়াইটা আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে

বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

অনেক হিসাব নিকাশ চলছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ মূহুর্তে। সবাই ঘর গোছাতে ও বাঁচাতে ব্যস্ত। সর্ব প্রথম কয়েকটি প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে মাথায়। ১. তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস কেন দেওয়া হলো? বেকসুর খালাস ই যদি দেবে তাহলে পুরো বগুড়া জুড়ে প্লাটুনের পর প্লাটুন র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ কেনো ছিলো আগের দিন থেকে। ২. নাতি জয় এখন কোথায়? কি কথা হলো জয় ও মোজেনার মধ্যে? ৩. জামায়াত কে কি একটু নমনীয় অবস্থানে মনে হচ্ছে না? ৪. আজ কেনো খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন? ৫. মন্ত্রীসভায় আওয়ামীদের সেই পুরোনো ভৃত্যগুলো কেন, যাদেরকে লাথি মেরে নর্দমার কীটের মতো ফেলে দেওয়া হয়েছিলো ? আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষন একটু শেয়ার করছি।

প্রথমত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেয়া হলো, একটু তিরষ্কার পর্যন্ত করা হলো না। যেখান কোথাকার কোন গুলিস্তান সিনেমা হলের কেস কে টেনে নিয়ে জিয়াউর রহমান, জিয়াউর রহমানের শাসনামল, এমনকি যে সংবিধানের মাধ্যমে আজকের আওয়ামীলীগ রাজনীতি করার অধিকার পেল সেটাকে তিরষ্কার ও রহিত করা হলো, সেই কালা মানিক যুগে তারেক জিয়ার জন্য এমন পুরষ্কার। একটু আশ্চর্য্যই বটে। তারেক জিয়ার জন্য যখন পুরুষ্কারই রয়েছে তখন আর সারা দেশ জুড়ে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ দিয়ে বিশেষ সতর্ক অবস্থান কেনো বিশেষ করে তারেক জিয়ার পিতৃভূমি বগুড়ায়। এ থেকে কি ধরে নেয়া যায় রায় একদম শেষ মুহুর্তে পরিবর্তিত হয়েছে? বিশেষ চাপে বা দেশে সাইদীকে ফাঁসীর তামাশার রায় দেয়ার পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো, তারেক জিয়ার রায়ের পর সেরকম কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার শক্তি আর হাসিনার নাই বলে? নাতি জয় দেখলাম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস দিয়ে একদম উরা-ধুরা অবস্থা, যাকে তাকে যখন যেমন চায় মায়ের মতো শিষ্টাচার বহির্ভুত কথা বার্তা বলে নিজেরে জাহির করা থেকে হঠাৎ করে বিরত? এটার অবশ্যই বিশেষ কোন কারন রয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে উর্দুলীগের এই ক্রান্তিলগ্নে নাতি জয় কোথায়?? নাতি জয়ের সাথে মোজেনার আলোচনার পর থেকেই নাতি লাপাত্তা হয়ে আছেন। তারেক রহমানের রায়ের পর একটা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এটলিস্ট একটা স্ট্যাটাস আসার কথা ছিলো। কিন্তু আসলো না। তবেকি ভেতরে ভেতরে একধরনের সংলাপ সংলাপ ভাব বিনিময় চলছে যেখানে বিদেশী শক্তি প্রভাব বিস্তার করে সর্বদলীয় অংশ গ্রহনে একটা নির্বাচন করতে চাচ্ছে হাসিনা, ভারত ও আমেরিকা। এজন্যই কি খালেদা জিয়া কে আব্দুল হামিদের সাথে চা নাস্তা খেতে যেতে হচ্ছে।

রাজনীতির এই জটিল মার প্যাঁচে এ মুহুর্তে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। বিগত ৫ বছরের জুলুম নির্যাতনের ফসল ঘরে তুলতে যাচ্ছে জামায়াত শীঘ্রি সম্ভবত। এবং এটা হবে জামায়াতের জন্য বিশাল অর্জন আর জাতির জন্য বিরাট বিস্ময়। শাহবাগীদের জন্য চপেটাঘাত। প্রথমত বিএনপি যদি সর্বদলীয় সরকার বা নির্বাচনে না যায় তাহলে জামায়াত যাবে না এটা নিশ্চিত এমনকি বিএনপিও চাবে না বিএনপি কে রেখে জামায়াত নির্বাচনে যাক।

তাই যেকোন মূল্যে বিএনপি চাবে জামায়াতকে সংগে রাখতে একইভাবে জামায়াত বিএনপিকে। নির্বাচনে জামায়াত বিএনপি উভয়ই যেতে চায় শুধু সমস্যা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে। দ্বিতীয়ত বিএনপি যদি সর্বদলীয় সরকারে যায় তাহলে ২/১টা মন্ত্রীত্ব জামায়াতও পাচ্ছে সেটা নিশ্চিত। চিন্তা করেন অবস্থাটা। হাসিনার সর্বদলীয় সরকারে জামায়াত, বিএনপি, জাপা, মেনন ছেনন, আলু পটল সবই থাকবে।

তাহলে শাহবাগীদের কি হবে। আওয়ামীদের দ্বিতীয় আব্বা ইমরানের কি হবে? চেতনা ব্যাবসা কি আর থাকবে? খালেদা জিয়া আজ প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাত করবেন। খালেদা জিয়া সম্ভবত একটা রূপরেখা দিয়ে আসবেন প্রেসিডেন্টকে সেই রূপরেখা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হাসিনার সাথে কথা বলে দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবেন। এটা হচ্ছে আমার অভজার্বেশান। তবে খালেদা জিয়ার সাজেশনে যেটা থাকবে ১ নম্বরে সেটা হচ্ছে হাসিনাকে পদত্যাগ।

এখানেই একটু ঘাপলা লেগে আছে। ইন্ডিয়া না বলা পর্যন্ত হাসিনা পদত্যাগ করছে না এটা নিশ্চিত। সে কটা দিন আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। তবে হাসিনা পদত্যাগ করবেনই। হাসিনা নিজেও জানেন তাকে আজ হোক কাল হোক পদত্যাগ করতে হবে।

কিন্তু আপ্রান চেস্টা করছে টিকে থাকার জন্য। সে হিসেবে যদি যেতেই হয় তাহলে দুটা ঘাগু কুত্তা মন্ত্রীসভায় রেখে যেতে চায়, তাই সিনিয়র দেখে পুরানা দুটি কু্ত্তা তোফায়েল আর আমুকে মন্ত্রী বানালো তিন মাসের জন্য। কারন এরা হচ্ছে ইতিহাসে পুরানা খেলোয়ার। মজার ব্যাপার হচ্ছে হাসিনা গতবার চেস্টা করেছিলেন গনভবনটা নিজের নামে লিখে নেয়ার জন্য এবার চেস্টা করছেন পুরু দেশটা নিজের নামে লিখে নেয়ার জন্য। সেটা তো পারবেই না বরং বুমেরাং হবে।

তবে একটা কথা গাধা জল খায় অনেক ঘোলা করে। [পুরাটাই আমার অবজার্বেশান থেকে লেখা, দেখা যাক প্রেডিকশনের কতটুকু বাস্তবে ঘটে]

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.