সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬ মাস মেয়াদি স্থায়ী পে-কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এই কমিশনের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন। আইনি জটিলতার কারণে আপাতত এর মেয়াদ হবে ছয় মাস। পরে তা পাঁচ বছর মেয়াদি স্থায়ী কমিশনে রূপ দেওয়া হবে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য পৃথক বেতন কাঠানো প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গেজেট প্রকাশ হয়নি। ফলে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে অনেকেই ফোন করে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। প্রক্রিয়াটি দীর্ঘদিন ঝুলে থাকায় অনেকেই আবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করতে হলে নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। তার এ জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তা বর্তমান সরকারের হাতে নেই। এজন্য আপাতত ছয় মাস মেয়াদি পে-কমিশন গঠন করা হবে। পরবর্তীতে নতুন নীতিমালা করে একে স্থায়ী করা হবে। যা হবে পাঁচ বছরের জন্য। এ সময়ের মধ্যে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরাসউদ্দিন নিজে থেকে চাইলে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারবেন। অন্যথায় তিনিই এর নেতৃত্বে থাকবেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, আজ রবিবার গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হবে। মহাজোট সরকারের বিদায়কালে সরকারি চাকুরেদের জন্য এটি একটি সারপ্রাইজ বলে মনে করছেন সরকার সংশ্লিষ্টরা। এর আগে গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের সময় স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। জানা গেছে, আজ রবিবার পে-কমিশন এবং পে-অ্যান্ড সার্ভিস কমিশন গঠন করা হবে। দুই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেই থাকছেন ড. ফরাসউদ্দিন। ১৫ সদস্যের এ দুই কমিশনের মেয়াদ হবে ৬ মাস। ১৫ সদস্যের কমিশনে মূল সদস্য হিসেবে থাকছেন ৩ জন। তারা হলেন নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হুমায়ুন কবির, সাবেক সচিব সৈয়দ সাজেদুল করিম ও সাবেক সচিব শেখ খুরশীদ আলম। সঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান ফরাসউদ্দিন। এ ছাড়া এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিআইডিএসের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন।
এর মধ্যে একজন প্রতিনিধিকে সদস্য সচিব করা হবে। পাশাপাশি এতে অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কৃষিবিদসহ সুধী সমাজের প্রতিনিধিদের রাখা হতে পারে। গত ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করার পরিকল্পনার কথা জানান। ওইদিন ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। এর পরদিন অর্থাৎ ৭ অক্টোবর মহার্ঘ ভাতার গেজেট প্রকাশ করা হলেও স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করা হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।