আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পশ্চিম রেলে নাশকতা ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে র

বিরোধী জোটের চলমান অবরোধের কারণে নাশকতার টার্গেট হয়ে উঠেছে রেলওয়ে। টানা অবরোধে রেলওয়ে বগিতে আগুন, ফিশপ্লেট ও রেল লাইন উপড়ে ফেলা, স্লিপার এবং স্টেশন ভাঙচুরের মতো পশ্চিম রেলওয়ের ২০টি পয়েন্টে নাশকতার চেষ্টা হচ্ছে। এর আগেও এসব পয়েন্টে নাশকতার ঘটনা ঘটে। এতে বিপন্ন হচ্ছে রেল চলাচল। নাশকতা ঠেকাতে পশ্চিম রেলওয়ে জোনে জিআরপি পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও থামছে না নাশকতা। জনবল সংকটে রেলওয়ের নিরাপত্তা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে রেলওয়ে পুলিশ। নাজুক পরিস্থিতি সামাল দিতে রেলপথের ব্রিজ কালভার্টগুলো সাধারণ রেল কর্মীদের দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মোটর ট্রলি সংকটের কারণে রেলপথের নিরাপত্তা ঠিকঠাকভাবে পালন করতে পারছে না রেল পুলিশ।

সৈয়দপুর জিআরপি জেলা রেল পুলিশের একটি সূত্র জানায়, টানা অবরোধের প্রথম দিন থেকে যেসব রেল পুলিশ ডিউটি শুরু করেছেন তারাই কোনো রকম বিরতি ছাড়াই ডিউটি পালন করে চলেছেন। এ জন্য তাদের দেওয়া হয়েছে রেল মোটর ট্রলি। সেসবও চাহিদামতো মেলেনি। প্রতি রেল থানার জন্য একটি করে ১২টি ট্রলি চাওয়া হলেও সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৮টি। তবে ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, পোড়াদহ ও সান্তাহার রেল থানায় ডিউটি করা হচ্ছে রেলওয়ে ইঞ্জিনে। একেকটি ট্রলিতে পাঁচজন করে রেল পুলিশ রাতভর রেলপথ পাহারায় চলাচল করছে। রেল সূত্র জানায়, পশ্চিম জোনের ৫৫৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার রেলপথে রয়েছে ১ হাজার ৬০৭টি ব্রিজ-কালভার্ট। এর মধ্যে ৩০০টি হচ্ছে বড় ব্রিজ। এ পথে স্টেশন রয়েছে ২১৪টি এবং রাতে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে ২২টি। রাতের এসব ট্রেনে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া সম্ভব হয় না পুলিশের সংখ্যা কম থাকার কারণে। পশ্চিম জোনে রেল পুলিশের সংখ্যা হচ্ছে ৫৬০ জন। সূত্রমতে, এ জোনে রাতের ট্রেনগুলোতে ৩ থেকে ৫ জন করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের পক্ষে ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সূত্রমতে, চলমান অবরোধে রেল পুলিশের পক্ষে ৬০০ জন আর্মড আনসার চাওয়া হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৬০ জন। সৈয়দপুরের পশ্চিম জোন রেল পুলিশ সুপারের অধীন রয়েছে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ৩টি বিভাগের ২২টি প্রশাসনিক জেলা। সৈয়দপুর জিআরপি জেলার অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার এমএ রকিব জানান, স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে ও মোটর ট্রলির অভাবে সঠিকভাবে ডিউটি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বিশাল এই রেল এলাকার নিরাপত্তাসহ নাশকতা ঠেকানোর ব্যাপারে র্যাব ও প্রশাসনিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নাশকতা ঠেকানো অনেকাংশে সম্ভব হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.