আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০১৬'র আগে শুরু হচ্ছে না মেট্রোরেলের কাজ

২০১৬ সালের আগে কাজ শুরু হচ্ছে না মেট্রোরেল প্রকল্পের। যদিও সরকার বলছে ২০১৫ সালে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে। কিন্তু এ প্রকল্পে মূল অর্থায়নকারী ও বাস্তবায়নকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ঢাকা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের শুরুতে কাজ আরম্ভ করা সম্ভব হবে এবং ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এর কাজ শেষ হবে।

এদিকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ কোটি টাকার অর্থদণ্ডের বিধান রেখে মেট্রোরেল আইন, ২০১৪-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় উঠছে বলে জানা গেছে। এ আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে মেট্রোরেলের মূল কাজ শুরু হবে। এ কারণেই প্রকল্পের কাজে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।সূত্র জানায়, পূর্বনির্ধারিত রুট অনুযায়ী নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। আর এ প্রকল্পের নকশা ও রক্ষণাবেক্ষণ পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর। আরও দুটি কাজের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে শীঘ্রই। এ দুটি হলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নয়ন পরামর্শক ও পুনর্বাসনসংক্রান্ত পরামর্শক। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুনের আগেই মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নসংক্রান্ত কোম্পানি গঠন এবং প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করা হবে। এর পরই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ পরিদর্শনের জন্য জাইকার একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। পরিদর্শন শেষে তারা প্রতিবেদন দিলে সে অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। সূত্র জানায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। আর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারিতে এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাইকার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার জোগান দেবে জাপানি এই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। কয়েক ধাপে এ অর্থ ছাড় হবে। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে সব ধরনের কারিগরি সহায়তাও দেবে জাপান। সূত্রমতে, মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা তৃতীয় ফেইজ থেকে ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত। মোট স্টেশন থাকবে ১৬টি। এগুলো হলো_ উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, মেট্রোরেল চালু হলে প্রতি উত্তরা থেকে মতিঝিলে পেঁৗছাতে সময় লাগবে সাকল্যে ৩৭ নিমিট। প্রথম স্টেশন থেকে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট অন্তর একটি করে ট্রেন ছেড়ে যাবে। আর প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। বাসের চেয়ে অনেক কম ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবে ঢাকাবাসী। সেই সঙ্গে অসহনীয় এ যানজটেও বসে থাকার প্রয়োজন হবে না মেট্রোরেল বাস্তবায়ন হলে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরুর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত অগ্রাধিকার ছয় প্রকল্পের মধ্যে একটি মেট্রোরেল। সে অনুযায়ী মেট্রোরেল প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়েই কাজ করছে সরকার। আইনের খসড়ায় মেট্রোরেল আইনের খসড়ার নয়টি অধ্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ, মেট্রোরেল পরিচালনা লাইসেন্স, ভাড়া নির্ধারণ কমিটি, আসন সংরক্ষণ, পরিদর্শক নিয়োগ, আপিল কর্তৃপক্ষ গঠনসহ মোট ৪৫টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী সপ্তাহের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.