সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গতকাল জয় তুলে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তান প্রমিলা দলের। পাকিস্তান হচ্ছে ক্রিকেটে এমনই ফিনিক্স পাখি, যারা মরতে মরতেই বেঁচে উঠে। যারা খেলার শেষ বল পর্যন্ত জয়ের আশা ছেড়ে দেয় না। কিংবা দর্শকরা যখন পাকিস্তানকে নিয়ে সব আশাই ছেড়ে দিয়েছেন তখনই তাদের সেরা খেলাটা বেরিয়ে আসে। তা হোক পুরুষ কিংবা নারী দল!
গতকালকের ম্যাচের কথাই ধরুণ না কেনো? দ্রুতই তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান।
আয়ারল্যান্ড শিবিরে তখন উল্লাস। সেই খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে তুলেন বিসমা মারুফ। তার ৪৮ রানের সুবাধে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১১৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তানের মেয়েরা। টি-২০ ক্রিকেটে এ আর এমন কী রান! কিন্তু ওয়াসিম আকরাম, সাকলাইন মোশতাকের দেশের নারীরা এই মামুলি স্কোরকেই এভারেস্ট বানিয়ে ফেললেন আয়ারল্যান্ডের জন্য। যে এভারেস্টের চূড়ায় আর উঠা সম্ভব হয়নি আইরিশ নারীদের।
১০৫ রানেই ফুরিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের শক্তি। ফলে ১৪ রানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। আর আশা জাগিয়েও হতাশা নিয়েই ফিরতে হয় আইরিশদের। পাকিস্তানের পক্ষে আসমিয়া ইকবাল ৩ টি ও সানা মির ২ টি উইকেট লাভ করেন। পাকিস্তানের বোলিং তোপের মুখে কেবল আইরিশ দলনেত্রী জোসিই কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
৩২ রান করে নিদা ধার এর বলে নাহিদা খানের হাতের ক্যাচ দিয়ে জোসি সাজঘরে ফিরে আসার মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়ে যায় আইরিশ পরাজয়। এরপর যা হলো তা তো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।