বিরোধীদলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের কবলে পড়ে সৈয়দপুরের শতাধিক ক্ষুদ্র গার্মেন্ট কারখানা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পোশাক তৈরির অর্ডার নিয়ে দেশে এবং বিদেশের মার্কেটে সরবরাহ করতে সমস্যায় পড়েছেন তারা। ফলে পোশাক খাতে কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগ আটকা পড়েছে। সময়মতো পোশাক সরবরাহ করা না গেলে অর্ডার বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা। স্থানীয় গার্মেন্ট কারখানার একাধিক মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের গার্মেন্ট কারখানা থেকে ঝুট কাপড় সংগ্রহ করে ক্ষুদ্র গার্মেন্ট কারখানা গড়ে তুলেছেন। সস্তা শ্রম ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় সৈয়দপুর শহরে সচল রয়েছে শতাধিক ক্ষুদ্র গার্মেন্ট। শীত মৌসুম এ শিল্পের ব্যবসার মোক্ষম সময়। কারখানা মালিকরা এ সময় ভারত, নেপাল, ভুটানের ব্যবসায়ীদের অর্ডার সংগ্রহ করেন। দেশের মোকাম থেকেও আসে পোশাক সরবরাহের বিপুল চাহিদা। ফলে মালিকরা পোশাক তৈরিতে বিনিয়োগ করেছেন কোটি কোটি টাকা। মজুদ বাড়াতে তৈরি করা হয় জ্যাকেট, ট্রাউজার, ফুল প্যান্ট, মোবাইল প্যান্ট। অবরোধ দীর্ঘায়িত হলে এখানকার সব গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। পথে বসবে এসব কারখানায় কর্মরত ১০ হাজার শ্রমিক। সৈয়দপুর রফতানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি আখতার হোসেন খান বলেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় তৈরি পোশাক দেশে ও দেশের বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। অর্ডার বাতিলের আশঙ্কা করছেন তারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।