পাবনার হোসিয়ারী শিল্পের ওপর নির্ভরশীল ৫০ হাজার মালিক-শ্রমিকের চোখে-মুখে এখন অমানিশার অন্ধকার।
হরতাল অবরোধের কারণে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখন এই অবস্থা আর দুই সপ্তাহ চললে তাদের পথে বসতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ অবস্থার অবসান চান এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। প্রবীণ হোসিয়ারী ব্যবসায়ী আলহাজ আবুল কাশেম বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় পাবনার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প ধ্বংসের পথে। হরতাল অবরোধের জন্যে দোকানপাট খুলতে না পারায় চরম ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। মিতু হোসিয়ারীর স্বত্বাধিকারী ওলি উল্লাহ জানান, শীত মৌসুমে আমরা যে ব্যবসা করি, তাই দিয়ে আমাদের বাকি ৯ মাস কাটাতে হয়। অথচ এবারে শীত মৌসুমের শুরুতেই হরতাল অবরোধের কারণে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। শারমিন হোসিয়ারীর স্বত্বাধিকারী তুহিন হোসেন জানান, পাবনায় মালিক শ্রমিক মিলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই পেশার ওপর নির্ভরশীল। শ্রমিকরা কাজ করে পেটে খাওয়ার জন্যে। অথচ এই অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে তারা কি করে খাবে। পাবনার পাথরতলা মোড়ের হোসিয়ারী ব্যবসায়ী মহসিন হোসেন বলেন, আমরা ব্যাংক লোন করে ব্যবসা করি অথচ ব্যাংক কিন্তু কম টাকা আমাদের থেকে নেবে না। পাবনা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব উল আলম মুকুল বলেন, দেশের অন্যতম এ শিল্পকে রক্ষায় দুই দলের সমঝোতা অতীব জরুরি। গতকাল দুপুরে পাবনা শহরের এ আর কর্নার মার্কেটে হোসিয়ারী ম্যানুফ্যাকচার গ্রুপের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ হোসিয়ারী ম্যানুফ্যাকচার গ্রুপের সভাপতি আনোয়ার হোসেন তালুকদার, হোসিয়ারী মালিক মজনু হোসেন, আলী আকবর, নিজাম হোসেন, রেজাউল করিম, মাসুদ হোসেন, মিলন হোসেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।