পেছনে ফেলে আসা দিন চাইলেও ফিরে যাওয়া যায়না যেখানে
বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মসুচী পালন করতে গিয়ে বাস, সিএন জি কিংবা রিকশায় লাগানো আগুনে পুড়ে কিছু লোক ইতোমধ্যে মৃত্যুবরন করেছেন। অনেকেই অসহ্য যন্ত্রনা সয়ে হাসপাতালের বিছনায় কাতরাচ্ছেন। এদের প্রায় প্রতিদিনই রক্ত দরকার। আগুনে পোড়া এইসব মানুষকে রক্ত দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য প্রথম আলো /অনলাইন পত্রিকাগুলো প্রতিদিন একটা করে রিপোর্ট ছাপতে পারে। যাতে এসব মানুষের শারীরিক অবস্থার বর্ননার পাশাপাশি কার কোন গ্রুপের কত ব্যাগ রক্ত লাগবে তার একটা তালিকা থাকবে।
তালিকায় রোগীর নাম স্বজনের নাম ও তার মোবাইল নম্বর থাকবে। প্রতিদিন সকাল বেলা পাঠকরা যখন এই প্রতবেদনটি পড়বেন তখন যিনি রক্ত দিতে চাইবেন তিনি যাকে দিতে পারবেন তার সাথে যোগাযোগ করবেন। এতে করে রোগী বা তার স্বজন নিশ্চিন্ত থাকলেন যে তার অন্ততঃ আজকের দিনের রক্তের একটা ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এতে করে রোগীর রক্তের চাহিদা যেমন মিটলো তেমনি একটু অস্বচ্ছল হলে খরচটাও একটু কমলো। অন্যদিকে বার্ন ইউনিটে বাড়তি মানুষের ভীড়ও এড়ানো যাবে।
আবার কোন গ্রুপের রক্ত হয়তো প্রয়োজন আছে ৫ ব্যাগ কিন্তু রক্তদাতা হাজির হয়েছেন ১৫ জন । দূর থেকে আসা কিংবা ঝক্কি ঝামেলা করে এসে একজন ভদ্রলোক হয়তো জানলেন যে তার গ্রুপের রক্তের আর প্রয়োজন নেই। আরেকটি ব্যাপার আজকে লাগছে না বলে যদি রক্ত দিতে আসা লোকজনের রক্ত ব্লাড ব্যাংকে জমা করে রাখেন তাহলে হয়তো এমন হতে পারে যে কোন এক ভদ্রলোক কোন রোগীকে আজ রক্ত দিতে পারলেন না বলে তার রক্ত ব্লাড ব্যাংকে জমা করে রাখা হলো, দুদিন বাদেই হয়তো এরই কোন নিকটজনের একই গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন পড়লো তখন তিনি তার জন্য আর কিছুই করতে পারলেন না। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য বিভিন্ন পত্রিকার হাসপাতাল প্রতিবেদক ও কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।