আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আ.লীগ প্রার্থীরা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচন থেকে আকস্মিক সরে যাওয়ার ঘোষণায় অনেকটা থমকে গেছে চট্টগ্রামের নির্বাচনী কার্যক্রম। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে কয়েকটি আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এখন তাকিয়ে আছেন ঢাকার দিকে। ঢাকা থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে, তার ওপর নির্ভর করে তাঁরা কৌশল নির্ধারণ করতে চাইছেন।
আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী আশাবাদী জাপা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেবে, এটা সাময়িক একটি সংকট। জাপা অংশ নিলে এ সংকট কেটে যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।


প্রসঙ্গত, আগামী ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। এরপর ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় রয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনের প্রার্থী সদ্য সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন গতকাল বুধবার বলেন, ‘আজ কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকায় বসছে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানাবে কী করব। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।

কেন্দ্র থেকেই কৌশল নির্ধারিত হবে। ’
জাপা সরে গেলেও চট্টগ্রামের প্রতিটি আসনে ছোট ছোট দলের প্রার্থী রয়েছে। আফছারুল আমীনের আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন খোকন চৌধুরী।
নগরের সদর আসন খ্যাত চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ নুরুল ইসলাম। এরশাদের সরে যাওয়ার ঘোষণায় তিনি উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় কিছু ধরছে না। তিনি কী আদৌ সরে যাবেন, নাকি আবার আসবেন—সেটা বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের কাছে নির্দেশ আসবে। তখন আমরা যা করার করব। ’
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসতেও পারেন।

তাই এখনই সেভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ’
এই আসনে জাপা প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এ ছাড়া এখানে রয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনএফ এবং ন্যাপের (মোজাফফর) প্রার্থী।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যক্রম বাদ দিয়ে এখন ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তবে কেন্দ্র থেকে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা বন্দর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ।

তবে তিনি বলেন, ‘এরশাদ যেখানে যাবে যাক। নির্বাচন হবে। জনগণ ভোট দেবে। আমি মনে করি, নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প বর্তমানে নেই। তাই কে গেল কে আসল সেটা বড় বিষয় নয়।

’ এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ছাড়া এখানে জাসদেরও প্রার্থী রয়েছেন।
সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান। তিনিও আপাতত ঢাকার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমার এখানে জাতীয় পার্টি ছাড়াও আরও প্রার্থী রয়েছে।

জাপার সরে যাওয়ার ঘোষণার পর এখন আমাদের কী করণীয় সে ব্যাপারে ঢাকা থেকে কোনো নির্দেশ আসেনি। তবে আমরা নির্বাচনী-প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। ’
আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটি বসে এ নির্বাচন বিষয়ে করণীয় কী হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে। গতকাল (বুধবার) তাদের বসার কথা ছিল।
এদিকে এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও জাতীয় পার্টির স্থানীয় প্রার্থীরা এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চুপ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.