আগামী শনিবার থেকে ফের টানা অবরোধ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। সে রকম সিদ্ধান্ত হলে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফারনান্দেজ তারানকোর ঢাকা সফরকালে অবরোধ চলবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ১৮ দলের টানা ১৩১ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হচ্ছে। এদিকে গতকাল সকালে এক ভিডিও বার্তায় দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ আজ বিকাল ৫টার মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা মেনে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেন। এর মধ্যে দাবি না মানলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে কয়েকদিন কর্মসূচি বন্ধ থাকলে পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালাতে পারে। তাছাড়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঢিলেভাব আসতে পারে। তাই শুক্রবার বাদ দিয়ে শনিবার থেকে ফের অবরোধ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। তবে অবরোধ ছাড়াও গণকারফিউ বা অসহযোগ আন্দোলন নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। তবে যাই হোক খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত হবে। দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকা সফরে তারানকোর 'গতিবিধি' অবরোধ আওতামুক্ত রাখা হবে। প্রয়োজনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যেদিন তারানকোর বৈঠক হবে, ওইদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য অবরোধ বন্ধ রাখা হতে পারে। আবার শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দুই দিনও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বিএনপি জোট। বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকার বাইরে থেকে জেলা ও থানা পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কাছে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার বার্তা পাঠাচ্ছেন। তারা বলছেন, অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করলে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাবে সরকার। তাই তারানকোর সফরে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে তারা মত দিয়েছেন। সকালে অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এখনো সময় আছে, দেশ, জাতি, জনগণের স্বার্থে আত্দঘাতী পথ পরিহার করুন। প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল বাতিলের ব্যবস্থা নিন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিন। এ দাবি মেনে নিলে জনগণ আপনার নিরাপদ প্রস্থানের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'আমরা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে মুক্তিকামী সব মানুষকে অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই বন্দুকবাজ ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছি।'
বিএনপির অভিযোগ : প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডের নামে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ডিবি পুলিশের সাদা পোশাকের কিছু লোক গাড়িতে করে কোনো অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। তিনি কোথায় আছেন কেউ জানেন না। তাকে কোন থানায় বা কার হেফাজতে কোথায় রাখা হয়েছে তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল বিকালে এক বিবৃতিতে দলের মুখপাত্র সালাউদ্দিন আহমেদ এই অভিযোগ করেন। তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। একই সঙ্গে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ারও অনুরোধ জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।