আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারমাইকেলে শিবিরের রগ কাটার শিকার হয়ে ১০ ব

কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আবারও হাত-পায়ের রগ কাটা শুরু করেছে ছাত্রশিবির। গত দশ বছরে এক ছাত্রীসহ ৭ জনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সংগঠনটির কর্মীরা। এদের মধ্যে ২ জনের হাত-পায়ের রগ কাটার পর তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। শিবিরের অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী। এদের অনেকেই চির জীবনের মতো পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আবার কেউ কেউ প্রাণ ভয়ে কলেজ ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ছাত্র মোশাররফ হোসেনের দুই হাত-পায়ের রগ দেয় শিবির কর্মীরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিবিরের কথা মতো চলাফেরা না করায় ২০০৬ সালের ১২ অক্টোবর বেগম রোকেয়া ছাত্রী নিবাসে ঢুকে শিউলি আক্তার ও নাসিমা সুলতানা নামে ২ ছাত্রীর হাতের রগ কেটে দেয় শিবির কর্মীরা। ২ নভেম্বর গভীর রাতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রীনিবাসে ঢুকে কুপিয়ে আহত করে ১৫ ছাত্রীকে। ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর দিন-দুপুরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা রশিদুল ইসলাম হিটলারের হাত-পায়ের কেটে দেওয়ার পর ড্রিল মেশিন দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুটো করে মৃত্যু নিশ্চিত করে শিবির কর্মীরা। একই বছরের ২৮ মার্চ রাতে অর্থনীতি মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মহিউল হাসান তুহিনকে ক্যাম্পাসে হাত-পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে শিবির। পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা জুয়েল মমতাজের।

হাতের কব্জি কেটে নেয় ছাত্রলীগ নেতা আবদুস সবুরের। পঙ্গুত্বের যন্ত্রণা নিয়ে কিছুদিন পর মারা যান সবুর। এখনো পঙ্গুত্ব জীবন কাটাচ্ছেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা। শিবিরের হাতে আহত হন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ৮০ জনের বেশি নেতা-কর্মী।

জানা যায়, কারমাইকেলে শিবিরের আধিপত্য শুরু হয় নব্বই দশকের পর থেকে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে শিবির ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং ছাত্রীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করে। বন্ধ করে দেয় মুক্তবুদ্ধি চর্চা, সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান চেতনাভিত্তিক কার্যক্রম। কলেজের ওসমানি, সিএম ও জিএল ছাত্রাবাস নিজেদের দখলে রেখে সেগুলো দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিবিরের নেতা-কর্মীদের বের করে দিয়ে ছাত্রবাস তিনটি বন্ধ করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় ছাত্রাবাস তিনটি থেকে উদ্ধার করা হয় এক ট্রাক দেশীয় অস্ত্র। ক্যাম্পাসে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে শিবিরের কার্যক্রম।

ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি রাফিউর রহমান রাফি বলেন, শিবির আবারও ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই অংশ হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা মোশাররফের ওপর হামলা চালিয়ে তার ২ হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে শিবির ক্যাডাররা।

কলেজ অধ্যক্ষ শাহ্ মোকসেদ আলী বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ যারাই বিনষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.