গত মাসখানেকের ভিতরে বিএনপির মোটামুটি ১২-১৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করেছে সরকার। আর তাই এখন ক্যামেরার সামনে এসে কথা বলার মত কোনও নেতাও নেই বিএনপির!!!
দেশের সবচে বড় দুইটি রাজনৈতিক দলের একটি হচ্ছে বিএনপি। এত বড় একটা দল হওয়া সত্ত্বেও তাদের কথা বলার মত কেন্দ্রীয় নেতা মোটে ১২-১৩ জন!!এখন কোনও কর্মসূচির ঘোষণা দিতে হলে তা অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও করে সংবাদ মাধ্যমের কাছে পাঠাতে হয়!!
সব দলের ভিতরেই এই একটা প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়, তারা নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে মোটেও আগ্রহী নন। সব ক্ষমতা ও নেতৃত্বের স্বাদ নিজেদের হাতেই রেখে দিতে চান। এইজন্য কোনও সরকারের আমলেই ডাকসু, চাকসু, ইউকসু নির্বাচন হতে দেখা যায় না।
সোজা কথায় নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার রাস্তা তারা একদম বন্ধই করে রেখেছেন। অথচ ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী একজন ছাত্রের সক্ষমতা রয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ পর্যন্ত যাওয়ার।
কিন্তু দুই দলের কোনও দলই তা করার জন্য কোনদিনও আগ্রহী হবে বলে মনে হয় না। এখন বিএনপি কিছুটা হলেও হয়ত বুঝতে পারছে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। কিন্তু যেহেতু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোনও উদাহরণ নেই, সুতরাং তারা ক্ষমতায় গেলেও এই অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যাবেন তা হলফ করেই বলে দেওয়া যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।