সরকার চাইলে যে কোনো সময় সংলাপে বসতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল যুক্তরাজ্যের অল পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সন্ধ্যায় এক ঘণ্টা বৈঠক করে। পরে খালেদা জিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি গ্রুপের সদস্যদের বলেছেন, বিএনপি সংলাপের জন্য প্রস্তুত। এখন সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের। ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন অ্যানি মেইন, রুশনারা আলী, নিক ডি বোয়েস, সিমন ড্যানজোক, জোনাথ্যান রেনল্ডস ও শাবানা মাহমুদ। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনও বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমপি রুশনারা আলী বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চাই। যাতে সব দলের অংশগ্রহণ থাকে। বর্তমানে যে সংকট চলছে, তা সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপে সমাধান আসতে পারে বলে আমরা মনে করি। সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো কিছু চাপ দিচ্ছি না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বসে সমঝোতায় পেঁৗছাবে। সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার বিষয় বাংলাদেশের বন্ধুদেশগুলো দুই দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘও অনুরোধ করেছে। রুশনারা আলী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো যদি তা পূরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশের জনগণ তাদের দোষারোপ করবে। বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে তাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি সব সময় সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধান চায়। আমরা এ জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ব্রিটিশ এমপিদের অবস্থান তুলে ধরে অ্যানি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কাজের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত হোক। এদেশের তৈরি পোশাক উন্নতমানের। এ জন্য শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এটা বর্তমান সরকার এবং ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তাকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।