ফুটবলে নতুন কোচের সন্ধানে নামতে হচ্ছে ঢাকা মোহামেডানকে। কেননা দলের নিয়মিত কোচ সাইফুল বারী টিটু বাফুফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোচ হতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে তিনিতো আর স্বাভাবিকভাবে মোহামেডানের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। স্বাভাবিকভাবেই তখন দলে নতুন কোচের প্রয়োজন পড়বে।
কথা হচ্ছে টিটু পরিবর্তে কে নেবেন মোহামেডানের দায়িত্ব। জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক জুয়েল রানা ও আলফাজ আহমেদ ফুটবল দলের সঙ্গে থাকাতে তাদেরও নাম শোনা যাচ্ছে। টিটু অসুস্থ থাকায় ফেডারেশন কাপে জুয়েল আপদকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করেন। যাক দুজনা যে মূল কোচ হচ্ছেন না তা ফুটবল ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবুর কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, টিটু বাফুফের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন কিনা তা এখনো আমরা নিশ্চিত নয়। কারণ এ আমাদের চূড়ান্ত করে কিছুই বলেনি। জানিনা এ ধরনের অফার তাকে আগেই দেওয়া হয়েছিল কিনা। ইচ্ছা করলেই মোহামেডান আপত্তি তুলতে পারত। কারণ টিটুর সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি আছে পুরো মৌসুমের। কিন্তু ফুটবল ফেডারেশন নিতে চাইলে বাধা দেব না। কারণ এখানে আমরা প্রাধান্য দেব দেশের স্বার্থই। তবে টিটু চলে গেলে মোহামেডানকে অবশ্যই সাময়িকভাবে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ হুট করে কোচতো আর পাওয়া যাবে না। লিগ সামনে, বুঝতেই পারছেন অসুবিধাটা কেমন হবে। জুয়েল রানা বা আলফাজকে মূল কোচের দায়িত্ব দেওয়া যায় না। বাবু বলেন, অবশ্যই দু'জনার কোয়ালিটি আছে। তারপরও মোহামেডানের মতো দলের মূল কোচের দায়িত্ব পেতে তাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। তাহলে কোচ হবে কে? দেখেন সমস্যাটা হচ্ছে টিটু এখনও আমাদের চূড়ান্ত করে কিছু জানায়নি। জানালে কোচ খোঁজার কাজ শুরু করে দিতাম। শোনা যাচ্ছে মোহামেডান নাকি আবাহনীর চলে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান কোচ নাথাল হলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বাবু বলেন, এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ আলাপ করেনি। বুধবার বা বৃহস্পতিবার ক্লাবে বৈঠক ডাকা হয়েছে সেখানে হয়তো বা কোচের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।