আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিমসটেক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ৪০ সদস্য

বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক কো-অপারেশন

(বিমসটেক) সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৪০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যাচ্ছে। তবে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, এই দলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের তালিকা তৈরি করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তালিকার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির নামও নেওয়া হয়। কিন্তু মূল তালিকায় শেষ পর্যন্ত কোনো বাণিজ্য প্রতিনিধির জায়গা হয়নি।মিয়ানমারের রাজধানী নেপিটোতে আগামী ১ থেকে ৪ মার্চ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড এই সাত সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধানের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। তবে ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তত দুটি কারণে এবারের বিমসটেক সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি হচ্ছে এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মনমোহন সিংয়ের সাইডলাইনে বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। সেখানে সীমান্ত চুক্তি, তিস্তা চুক্তি ছাড়াও স্থলবন্দরের অবকাঠামো বৃদ্ধি, সীমান্ত হাট নির্মাণের মতো বাণিজ্যবিষয়ক ইস্যুগুলো আলোচনায় ঠাঁই পাবে বলে জানা গেছে।এ ছাড়া গত তিন বছর ধরে বিমসটেক ট্রেড নেগোসিয়েশন কমিটির (টিএনসি) কোনো বৈঠক হয় না। ওই বৈঠকে বাণিজ্যবিষয়ক চারটি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। পরবর্তী বৈঠকের আয়োজকও হবে বাংলাদেশ। বিমসটেকে এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকার পরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে উপেক্ষা করা হয়েছে। সূত্র জানায়, বিমসটেকের একটি কমিটি আছে। যার নাম ট্রেড নেগোসিয়েশন কমিটি (টিএনসি)। এ কমিটির ১৯টি সভা হয়ে গেছে। ২০তম সভাটি হওয়ার কথা থাইল্যান্ডে। তার পরের সভাটি হওয়ার কথা ঢাকায়। ১৯তম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০তম বৈঠকের পর ঢাকায় যে সভাটি হবে সেখানেই সই হবে বাণিজ্য চুক্তিগুলো। কিন্তু সদস্য রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার প্রস্তুতির অভাবে গত তিন বছর ধরে ২০তম সভাটি হয়নি। সে কারণে পরবর্তী সভার আয়োজনও করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে, এবার তারা প্রস্তুত। তাই মিয়ানমারে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে টিএনসির পরবর্তী সভার আয়োজন এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বাণিজ্য প্রতিনিধিদের। এ ধরনের আলোচনার গুরুত্বের বিষয়টি সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানান, বিমসটেকে বাণিজ্য চুক্তির খসড়া এবং টিএনসির বৈঠক আয়োজনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে এর গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে। তারপরও মূল তালিকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলের দেশগুলো নিয়ে বিমসটেক গঠনের পর প্রতি চার বছর অন্তর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম সম্মেলনটি থাইল্যান্ডে ২০০৪ সালে এবং দ্বিতীয় সম্মেলনটি ২০০৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় সম্মেলনটি ২০১২ সালে হওয়ার কথা থাকলেও দুই বছর পর ২০১৪ সালে এটি মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনের স্লোগান হচ্ছে সমন্বয়ের মধ্যে উন্নতি। সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো ইস্যু ছাড়াও কৃষি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, জনস্বাস্থ্য, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য সম্পদ, পর্যটন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত নানা ইস্যুতে আলোচনা করবে। এ ছাড়া এবারের আলোচনায় এ অঞ্চলের নেতাদের কাছে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.