দিনাজপুরে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ বুধবার ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকাল নয়টা ৫০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বাঁশেরহাট এলাকায় মসজিদের মাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর জামায়াত-শিবিরের তিন শতাধিক কর্মী-সমর্থক বড় বড় ছুরি, সামুরাই, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।
জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ড. ওয়াজেদ ভবন ও জিমনেসিয়ামে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা দরজা-জানালার কাচ ও আসবাব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।
এরপর তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর হোসেন হল ও টিএসসিতে হামলা চালান। হামলাকারীরা হলটির ছাত্রলীগকর্মীদের অন্তত ২০টি কক্ষে বিছানা-বালিশ ও বই-খাতা জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁরা টিএসসিতেও ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে তাঁদের তাণ্ডব।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার সময় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা চিত্কার ও কান্নাকাটি করতে থাকেন। কিন্তু খবর পাওয়ার পরও জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেউ যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রুহুল আমিন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ১০টার দিকে তিনি জেলা প্রশাসককে ফোন করে নিরাপত্তা সাহায্য চান। কিন্তু হামলাকারীরা চলে যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ক্যাম্পাসে যান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, উপাচার্যের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পরপরই তিনি পুলিশ ও বিজিবিকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু হামলাকারীরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি, ইট ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করায় তারা যথাসময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারেনি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।