আঙ্কারায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, সিরিয়ায় ইসলামিক ফ্রন্টের যোদ্ধারা পশ্চিমা-সমর্থিত বিদ্রোহী দল ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’র (এফএসএ) কয়েকটি ঘাঁটি দখল করে নেয়ার পর সহায়তা বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিরিয়ায় বিদ্রোহী দলগুলোর নতুন জোট ইসলামিক ফ্রন্টের যোদ্ধারা গত সপ্তাহে তুরস্ক সংলগ্ন বাব আল-হাওয়া সীমান্ত পারাপার এলাকায় এফএসএ জোটের যোদ্ধাদের হটিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনার পরই প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদেরকে ওষুধ, সামরিক যান, যোগাযোগের যন্ত্রপআতি, দেহবর্ম, রাতে দেখার গগলস প্রভৃতি সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা এল।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো এখন পর্যন্ত সিরিয়ার বিদ্রোহীদেরকে সরাসরি মারণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করেনি। কারণ তা জিহাদি এবং আল কায়েদার হাতে চলে যেতে পারে বলে তারা শঙ্কিত। তবে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কাছে গোপন অস্ত্রের চালান পাঠাতে পশ্চিমাদের সহায়তা করার খবর পাওয়া গেছে।
গত মাসে সিরিয়ায় সাতটি নেতৃস্থানীয় বিদ্রোহী দল আহরার আল-শাম, জয়েশ আল-শাম, শুকুর আল-শাম, লিওয়া আল-তাওহীদ, লিওয়া আল হাক, আনসার আল-শাম এবং ‘দ্য কুর্দিশ ইসলামিক ফ্রন্ট’ ৩৩ মাসের গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে বড় জোট গড়ার ঘোষণা দেয়। এ জোটের যোদ্ধা সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার।
নতুন ইসলামিক ফ্রন্ট নামের এই জোট নিজেদেরকে ‘স্বাধীন রাজনৈতিক, সামরিক এবং সামাজিক গোষ্ঠী’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছে, তাদের লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে সিরিয়ায় ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।