বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি, তফসিল স্থগিত, সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সংলাপ-সমঝোতার পথ প্রশস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি সরকারকে ‘একগুঁয়েমি’ পরিহার করারও আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মধ্যস্থতায় সরকারি দল আলোচনায় বসতে সম্মত হওয়ায় দেশবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। সরকার মানুষের প্রত্যাশাকে বিবেচনায় নেবে এবং একগুয়েমি পরিহার করে শান্তি ও সমঝোতার পথে এগুবে বলে তিনি আশা করেন।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, তাঁরা বারবার শান্তিপূর্ণ ফয়সালার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার শান্তি ও সমঝোতাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি। বরং তারা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিবকে সমঝোতার উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন ও জাপান সরকারসহ যেসব বন্ধু রাষ্ট্র সমঝোতার আহ্বান অব্যাহত রেখেছেন তাদেরও অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া।
প্রতিবেশী ভারতকেও একই অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ভারতের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ ভারতের সরকার ও জনগণের প্রতি আমার আহ্বান, তারাও যেন বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি, দাবি ও মনোভাবের প্রতি সম্মন দেখিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবস্থানের সঙ্গে একাত্ম থাকেন। ’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সসরকারের একগুঁয়েমি এবং ক্ষমতা আকড়ে থাকার বাসনার কারণেই সবক্ষেত্রে অচলাস্থা তৈরি হয়েছে। নাশকতা ও অন্তর্ঘাতের সব ঘটনার দায় সরকারের ওপর চাপান বিরোধীদলীয় নেতা। সেই সঙ্গে তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সাধারণ নাগরিক কোনভবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া হাস্যকর প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার পুরো বিবৃতি পড়ুন...
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।